×

স্বাস্থ্য

বাংলাদেশে বিশ বছরে অন্ধত্ব কমেছে ৩৫ শতাংশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:৪৭ এএম

বাংলাদেশে বিশ বছরে অন্ধত্ব কমেছে ৩৫ শতাংশ

এখনো প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১৯ জনই দৃষ্টি ত্রুটিজনিত সমস্যায় ভুগছেন

গত বিশ বছরে ত্রিশোর্ধ জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্ধত্বের হার কমে এসেছে ৩৫ শতাংশ। কিন্তু এখনো প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১৯ জনই দৃষ্টি ত্রুটিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। দেশে পরিচালিত ২০২০ সালের অন্ধত্ব জরিপের ফলাফলে উঠে এসেছে এই তথ্য। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জরিপের এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০০০ সাল থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলায় এই জরিপ পরিচালনা করে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)। জরিপে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৬০টি ক্লাস্টার থেকে এবং এতে অংশ নিয়েছেন ১৮ হাজার ৮১০ জন।

জরিপের তথ্য তুলে ধরে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুর রহমান বলেন, বিশ বছরে বাংলাদেশে অন্ধত্বের হার ৩৫ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ অন্ধত্বের প্রধান কারণ চিকিৎসার অভাবে চোখে ছানি পড়া। এছাড়া ডায়াবেটিসজনিত রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা এবং বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন অন্ধত্বের প্রধান কারণ।

এর আগে ২০০০ সালেও অন্ধত্ব নিয়ে দেশে একটি জরিপ চালানো হয়েছিল। সে সময় সারাদেশে চোখের ছানিজনিত অন্ধত্বের শিকার মানুষের সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার। বিশ বছর পর এবারের জরিপে সেই সংখ্যা ৫ লাখ ৩৪ হাজার জনে নেমে এসেছে।

সিআইপিআরবির হেলথ সিস্টেম রিসার্চ ডিভিশনের পরিচালক ডা. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অন্ধত্বের হার কমার তথ্যটি পাওয়া গেছে। জাতীয় পর্যায়ে সার্ভে করতে হলে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন হয়। আমাদের হিসাব ছিল জরিপে ১৮ হাজারের কাছাকাছি মানুষের অংশগ্রহণ হলেই চলত। আমরা কিছু লোক বেশি রেখেছি। ১৮ হাজার মানুষের ওপর করা জরিপকে ভিত্তি ধরে জাতীয় পর্যায়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশে অন্ধত্বের হার কমেছে এটা ‘খুবই ভালো খবর’। এই অর্জন এমনি এমনি আসেনি, এজন্য অনেক কাজ করতে হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বিরাট পাওয়া।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের অনেক উন্নয়ন হলেও সমালোচনার ‘শেষ নেই’। অনেক লোক আছে, তাদের ভালো চোখে ছানি পড়ে গেছে। তারা স্বাস্থ্যের উন্নতি দেখতে পায় না। সমালোচনা করলেও চিকিৎসা কিন্তু দেশের হাসপাতাল থেকেই নিচ্ছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App