×

ফিচার

২০০ বছরের ঐতিহ্যের সাক্ষী সূর্যপুরী আমগাছ

Icon

মো. বোরহান উদ্দিন, ঠাকুরগাঁও থেকে

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৮ পিএম

২০০ বছরের ঐতিহ্যের সাক্ষী সূর্যপুরী আমগাছ

ছবি: ভোরের কাগজ

বিশাল দানব আকৃতির সূর্যপুরী আমগাছের অবস্থান ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের মন্ডুমালা গ্রামে। গাছটির সঠিক বয়স সম্পর্কে কেউ বলতে পারেন না। তবে গ্ৰামের প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, সূর্যপুরী আম গাছটির আনুমানিক বয়স ২২০ বছর । রাজধানী ঢাকা থেকে এ অবস্থানটির দূরত্ব ৪৬৬ কিলোমিটার উওর পশ্চিমে। স্থানীয়দের দাবি, গাছটি এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন আম গাছগুলোর মধ্যে একটি। 

জানা যায়, জমিদার সতেন্দ্রনাথ বাবু এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বৈরী ধনী এখানে আম গাছটি লাগিয়েছিলেন। গ্ৰামের নামানুসারে গাছটিরও নামকরণ করা হয়। গাছটির উচ্চতা প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ফুট এবং ঘের প্রায় ৩৫ ফুট। আমগাছটি ২ বিঘারও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। দিনে সূর্যের আলোয় দূর থেকে গাছটিকে দেখে মনে হবে গাড় সবুজ কোন টিলা। গাছটির চারপাশে ১৯ টি বড় ডাল অক্টোপাসের মতো মাটিতে নুয়ে পরে শেকড়ের জন্ম দিয়েছে। ফলে একেকটি ডাল রূপান্তরিত হয়েছে বৃক্ষে ।

ছবি: ভোরের কাগজ

জানা গেছে, গাছটিতে বছরে প্রায় ১২০ থেকে ১৫০ মণ আম উৎপাদিত হয়। আমগুলো দেখতে ছোট থেকে মাঝারি আকারের সরু ও মিষ্টি। প্রতিটি আমের ওজন  ১৪০ থেকে ১৬০ গ্ৰামের মধ্যে হয়ে থাকে । সাধারণত জুন মাস থেকে গাছে আম পাকতে শুরু করে এবং জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত তা পাওয়া যায়। 

এ আম গাছটির উত্তরাধিকারী সূত্রে মালিকানা পেয়েছেন দুই ভাই সাইদুর মোল্লা এবং মো. নূর ইসলাম। তারা গাছটিকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে তুলেছেন একটি বিনোদন কেন্দ্র। গাছটির নিচেই শিশুদের বিনোদনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে নাগরদোলা । গাছটিকে দেখতে হলে ২০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। এখানে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে । 

স্থানীয় একজন জানান, আমাদের গ্রামে এই শতবর্ষী গাছটি দেখতে এবং এই আমের স্বাদ নিতে দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক আসে। আমাদেরও ভালো লাগে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App