×

বিনোদন

আজ গোলাম মুস্তাফার ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:১৮ পিএম

আজ গোলাম মুস্তাফার ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ দেশ বরেণ্য ও কিংবদন্তি অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি একাধারে ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী ও অভিনেতা। ছোট ও বড় দুই পর্দা মিলিয়ে দুর্দান্ত ছিল তার দর্শক জনপ্রিয়তা। তার অভিনীত অনেক চরিত্রই দাগ কেটেছেন দর্শকের হৃদয়ে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের গুণী এ অভিনেতা ২০০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন। এ দিনে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় তাকে স্মরণ করছেন ভক্ত-অনুরাগীরা।

গোলাম মুস্তাফা ২ মার্চ, ১৯৩৪ সালে বরিশালের দপদপিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন সাব-রেজিস্টার। স্কুলজীবন শুরু করেন রোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। ম্যাট্রিক পাস করেন খুলনা জিলা স্কুল থেকে। স্কুল-কলেজ জীবনে তার শখ ছিল নাটকে অভিনয় করা ।

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে বরিশাল অশ্বিনী কুমার টাউন হলে বি ডি হাবিবুল্লাহ রচিত ‘পল্লীমঙ্গল’ নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। একই বছর বরিশাল জিলা স্কুলে ‘ফাতেহা ইয়াজ দাহম’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘ঐ নাম’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন এবং আবৃত্তিকার হিসেবে দর্শকদের নজর কাড়েন।

পঞ্চাশের দশকের মধ্যসময়ে গোলাম মুস্তাফা ঢাকায় চলে আসেন এবং নাট্যাভিনয় শুরু করেন । তিনি প্রথমে চিত্রজগতে আসেন প্রামাণ্যচিত্র ‘এক একর জমি’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। গোলাম মুস্তাফা অভিনীত প্রথম সিনেমা এহতেশাম পরিচালিত ‘রাজধানীর বুকে’। ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটিতে তিনি ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেন। প্রথম ছবিতেই অভিনয়ে পারদর্শিতা দেখান তিনি।

গোলাম মোস্তফা একইসঙ্গে বাংলা-উর্দু মিলিয়ে প্রায় ৩০০ চলচ্চিত্রে নায়ক, সহনায়ক, খলনায়কসহ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য উর্দু চলচ্চিত্র -পিরিত না জানে রীত, কাজল, চোখাই, চান্দা ও তালাশ। বাংলা চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে আলিবাবা চল্লিশ চোর, রাজধানীর বুকে, নিজেকে হারায়ে খুঁজি, রক্তাক্ত বাংলা, রূপালী সৈকতে, সীমানা পেরিয়ে, তিতাস একটি নদীর নাম, সূর্য সংগ্রাম, পদ্মা নদীর মাঝি, এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী, শুভদা, শ্রাবণ মেঘের দিন, ধীরে বহে মেঘনা, চন্দ্রনাথ, দেবদাস ইত্যাদি।

গোলাম মুস্তাফা ঢাকা টেলিভিশনের জন্মলগ্নে নাটকে অভিনয় শুরু করেন। প্রথম দিকে ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি নাটকে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি তার সহকর্মী অভিনেত্রী হোসনে আরার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার মেয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

গোলাম মুস্তাফা ১৯৮০ সালে এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী সিনেমাটিতে অভিনয়ের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্র অভিনেতা এবং ১৯৮৬ সালে শুভদায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। অভিনয়শিল্পে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০০১ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। তিনি বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App