জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৫ ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ ৮টি ক্যাটাগরিতে ৯টি পুরস্কার তন্মধ্যে ৩টি এককভাবে পাওয়ায় টাঙ্গাইলের কৃতী সন্তান রিয়াজুল রিজু কে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে । বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু (ভিআইপি) লাউঞ্জে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের আয়োজনে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৫ বিজয়ী রিয়াজুল রিজুকে সংবর্ধনা’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে তাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নেসার উদ্দিন জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো: মাহবুব আলম (পিপিএম)। মূখ্য আলোচক ছিলেন টাঙ্গাইলের আরেক কৃতী সন্তান স্বনামধন্য নাট্যকার ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন,বিশিষ্ট্য নাট্যকার জনাব মাসুম রেজা, নাট্য পরিচালক শাহেদ শরীফ খান, রয়েল অটোর কর্ণধার এম এ হোসেন মঞ্জু, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগ এর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান (ছোট মনির)। এছাড়াও আরো ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা ,কার্যকরী পরিষদ সদস্য মহব্বত হোসেন, মোস্তফা কামাল নান্নু সহ টাঙ্গাইলে কর্মরত সকল মিডিয়ার সংবাদকর্মী ও সকল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ। মামুনুর রশীদ বলেন, রিজু আমাদের টাঙ্গাইলের গর্ব, এই প্রথম টাঙ্গাইলের কোন সন্তান পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার সর্বকনিষ্ঠ পরিচালক হিসেবে সে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেয়েছে। আমরা টাঙ্গাইলবাসীর পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো: মাহবুব আলম বলেন, রিয়াজুল রিজু’র চলচ্চিত্র ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ সত্যিই বলার মতো একটি চলচ্চিত্র, এটিতে তিনি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বিষয়গুলি যেভাবে তুলে ধরেছেন তাতে তাকে কিভাবে শুভেচ্ছা জানাবো সে ভাষা আমার জানা নেই।তবুও টাঙ্গাইলবাসী ও টাঙ্গাইল পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে আমরা শুভেচ্ছা জানাই। সংবর্ধিত রিয়াজুল রিজু বলেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ায় আমি যতটা না আনন্দিত হয়েছি তার চেয়ে বেশি আনন্দিত হয়েছি আজকে। কারন টাঙ্গাইল আমার শিকড় আর এই শিকড় আজ আমার কর্মের স্বীকৃতি দিয়েছে । আমি কৃতজ্ঞ সকল টাঙ্গাইলবাসীর প্রতি বিশেষ করে প্রেসক্লাবের সকলের প্রতি।