×

বিনোদন

বিগো লাইভে যেভাবে জড়িয়েছিলেন হিমু (ভিডিও)

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১১ পিএম

বর্তমান ইন্টারনেট দুনিয়ায় স্মার্টফোনের ছড়াছড়ি সবখানেই। যা সামান্য আঙুলের ইশারায় খুব সহজেই আপনাকে নিয়ে যাবে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। গুরুত্বপূর্ণ নানা কাজে ব্যবহার হচ্ছে এই স্মার্ট ফোন। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকছেন অনেকেই। অনেকে আবার এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিভিন্ন অ্যাপ থেকে মাসে আয়ও করছেন লাখ লাখ টাকা। তবে এর উল্টো চিত্রও রয়েছে। টাকা ইনকাম করতে গিয়ে অনেকে আবার নিস্বও হয়েছেন। তাই অনলাইন আয়ের উৎস টিকটক, বিগো লাইভের মতো অনেক অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে বিভিন্ন দেশে। সম্প্রতি টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে বিগো লাইভ নামের অ্যপটি। ছোট পর্দার অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর মৃত্যুর পর এই অ্যপটি নিয়ে সবার মাঝে প্রশ্ন উঠেছে। হিমু এখানে কী করতেন আর কীভাবেই বা এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এ নিয়ে জানার কৌতুহল সৃষ্টি হয় সবার মাঝেই। র‌্যাব জানায়, গত দুই থেকে তিন বছর ধরে অনলাইনে জুয়া খেলার অ্যাপ “বিগো লাইভে” আসক্ত ছিলেন হিমু। জুয়ায় প্রায় ২১ লাখ টাকা খুইয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। জুয়ার টাকা ও বিয়ে নিয়ে হিমু ও তার কথিত প্রেমিক রুফির মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হিমু আত্মহত্যা করেন বলে জানায় র‌্যাব। বিগো লাইভ অ্যাপটি যাত্রা করেছিল লাইভ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। যেখানে বিশ্বের যে কোনো মানুষের সঙ্গে লাইভ চ্যাট করতে পারেন ব্যবহারকারী। নিজে লাইভ করতে পারেন কিংবা অন্যদের লাইভেও যুক্ত হতে পারেন। বর্তমানে বিগো লাইভের সারাবিশ্বে ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এটি তাহলে নিষিদ্ধ হলো কেন? মূলত লাইভ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও ধীরে ধীরে এখানে নানান ধরনের অবৈধ কাজ শুরু হয়। বিশেষ করে, অনলাইন জুয়ার অনেক বড় আসরে পরিণত হয় এই অ্যাপটি। এছাড়াও অশ্লীলতা ছিল এখানকার নিয়মিত ঘটনা। অ্যাপটি সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থার। বিগো লাইভ অ্যাপের ব্যবহারকারীরা বেশিরভাগই তরুণ-তরুণী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক। এটি ব্যবহার করে একই সঙ্গে টেক্সট ও ভিডিও চ্যাট করা যায়। ব্যবহারকারীরা একই সঙ্গে নিজেদের দেখতে ও শুনতে পারেন। এছাড়া তাদের চ্যাটিং দেখতে পারেন অ্যাকাউন্টধারী যে কেউ। স্ট্রিমিংয়ে আড্ডা দেয়ার জন্য ব্যবহারকারীদের ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা ‘ডায়মন্ড’ বা ‘বিনস’ কিনতে হয়। অ্যাপটিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অশ্লীল গল্প, ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হয়। অনেকেই খুঁজতে থাকেন প্রতারণার সুযোগ। কেউ ফাঁদে পা দিলেই তার সর্বস্ব লুটে নেয়ার উপায়ও তাদের জানা রয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে উপদেশমূলক বক্তব্যও প্রচার করা হয় এখানে। এছাড়াও বিভিন্ন গ্যাং তৈরি হয়েছে এই প্ল্যাটফর্মে। যারা নানাভাবে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ২০১৯ সালে যখন তারা বাংলাদেশে ব্যবসার জন্য ‘লাইসেন্স’ নেয়, সেই সময়ে বলা হয়েছিল যে তারা মূলত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয়সহ ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করবে। কিন্ত ভিডিও চ্যাটের নামে অর্থ লেনদেন করতে পারবে না। কিন্তু নিয়ম না মেনেই টাকা লেনদেন করা হয়েছে। গত বছর দেশে এই অ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। তারপরও নানাভাবে জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেকেই এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন। হারাচ্ছেন সর্বস্ব। অনেকেই অর্থ খুইয়ে হতাশায় ডুবে যাচ্ছেন। এরপর বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার মতো কাজ যার জলন্ত উদাহরণ হোময়ারা হিমু।    

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App