×

বিনোদন

রাজ-পরীর ‘রক্তারক্তি’ নিয়ে মুখ খুললেন তমা মির্জা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৩, ০৮:১০ পিএম

রাজ-পরীর ‘রক্তারক্তি’ নিয়ে মুখ খুললেন তমা মির্জা

ঢাকার সিনেমার চিত্রনায়িকা তমা মির্জা, শরীফুল রাজ ও পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

রাজ-পরীর ‘রক্তারক্তি’ নিয়ে মুখ খুললেন তমা মির্জা

ঢাকার সিনেমার আলোচিত জুটি অভিনেতা শরীফুল রাজ-চিত্রনায়িকা পরীমনি বিয়ে থেকে শুরু করে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ছেলের জন্মদিন উৎসব, সবখানেই যেন নাটকীয়তার গল্প রচনা করেছেন তারা।

এই দম্পতির আলাদা বসবাসের প্রায় তিন মাসের ব্যবধান ঘুচিয়ে গত ১৬ আগস্ট রাতে তারা মুখোমুখি গানবাংলা টিভি কার্যালয়ে। সেখানে কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নী দম্পতির উদ্যোগে পুনরায় ছেলের জন্মদিনের কেকও কাটেন। এরপর হাসিমুখে জড়াজড়ি, সুখকর সমাপ্তি। কিন্তু মিলনের একদিনের মাথায় ফের আলাদা হয়েছেনই আরও একধাপ এগিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটান বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এই গুঞ্জনে ঘি ঢালেন খোদ পরীমনি। তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ছবি পোস্ট করেন। ওই ছবিতে দেখা যায়, ক্যানোলা লাগানো দুটি হাত। পোস্টটি আরেক নায়িকা তমা মির্জাকে ট্যাগ করে বোঝালেন, হাত দুটি তাদের দুজনের।

এদিকে, যখন জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন পরীমনি। এর কিছুক্ষণ পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে প্রকাশ্যে আসে রাজের একটি ছবি, যেখানে তাকে রক্তাক্ত মাথা নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। মুহূর্তেই তৈরি হয় রহস্যময় পরিস্থিতি। তবে ঠিক কীভাবে, কোথায় এমন রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটেছে, তা স্পষ্ট হয়নি।

তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, রাজ-পরীর মিলনের একদিনের মাথায় নির্মাতা রায়হান রাফীর অফিসে নায়ক-নায়িকার মধ্যে তুমুল ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে তা ‘রক্তারক্তি’তে রূপ নেয়! অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন পরীমনি, সঙ্গে বন্ধু তমা মির্জাও!

গুঞ্জন রয়েছে, রাজ-পরীর হাতাহাতি থামাতে গিয়ে আহত হন খোদ তমা মির্জাও! ফলে তিন জনই একই রাতে ভর্তি হন হাসপাতালে! যদিও কারো কাছ থেকেই তথ্যটির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

তবে রাজ-পরীর এই সময়ের সবচেয়ে নিকটতম বন্ধু তমা মির্জাকে পাওয়া যায়। হাসপাতালে তমা ভর্তি হন ১৮ আগস্ট রাত ১০টায়। ভর্তির কারণ, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও মাথাব্যথা নিয়ে।

তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে কেউ কারো হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কি চেকইন দেয়? আমি কিন্তু হাসপাতালে ঢুকেই সেটা দিয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি সেই মেয়ে, যে স্বামীর হাতের মার খেয়ে ঘর ছেড়েছি। সেটার প্রকাশ্য প্রতিবাদ করার জন্য যা যা করা দরকার করেছি। তো সেই মেয়েটিকে অন্য কারো জামাই এসে মেরে চলে যাবে, আর আমি চুপচাপ হাসপাতালে শুয়ে কাঁদবো, সেটা তো কল্পনাই করতে পারি না। ফলে আমার বক্তব্য স্পষ্ট, রাজ-পরীর মারামারির যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেটার আশপাশেও আমি ছিলাম না।

তবে গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজ-পরী বাসা থেকে বেরিয়ে আমাকে ফোনও করেছে দেখা করার জন্য। আমি বলেছি, আমার জ্বর। আজ দেখা হবে না। এরপর পরী বলেছে, বাসায় বিশ্রাম করো। কাল দেখতে আসবো। এরমধ্যে কী হয়েছে, আমি আর জানি না।

কিন্তু ১৮ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা নাগাদ তমার হাত ধরে পরীমণি একই হাসপাতালের চেকইন দিয়েছেন। সেটিতে কি সন্দেহের যোগসূত্র প্রমাণ করে না? জবাবে তমা বলেন, ১৮ আগস্ট সন্ধ্যার পর জ্বরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমি ১০টার দিকে হাসপাতালে যাই। ভর্তি হই। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সবাই জানেন আমার অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে। কিডনিতেও সমস্যা রয়েছে। ফলে শরীরে যাই হোক, তখন এগুলো জেগে ওঠে। তো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমি ওষুধ খেয়ে তো অচেতন অবস্থা। হঠাৎ আম্মু ডেকে ওঠালো, বললো পরীমনি এসেছে। উঠে দেখি পরী হুইল চেয়ারে। সঙ্গে রাজ্য-চয়নিকা বৌদি, নাচের দুটো ছেলেসহ বেশ কজন আমার কেবিনে।

তখন পরীমনি জানায়, ওর জ্বর এসেছে। তাই চলে এসেছে। এরপর কাশতে কাশতে গল্প করলাম, সেটাই শেষ।

রাজ-পরীর কাঙ্খিত মিলনের এক দিনের মাথায় কেন রক্তারক্তি হলো? প্রশ্নের জবাবে তমা বলেন, প্রথমত পরী আমাকে এ বিষয়ে কিছুই শেয়ার করেনি। হতে পারে আমার শরীর খুবই খারাপ, তাই। হতে পারে, বলার মতো কিছুই ঘটেনি। তবে আমি পরীকে যতটুকু এখন দেখছি, সে তার রাজ্য ছাড়া পৃথিবীর আর কিছুর সঙ্গে নেই। না শুটিং, না মডেলিং, না আড্ডা। তার পুরো দুনিয়াটাই এখন রাজ্য। ওর সুখটাই পরীর সুখ। ফলে পরীর মিলন বলেন আর বিরহ বলেন, তার সবটাই রাজ্যকে ঘিরে আবর্তিত।

তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়, পরী বরাবরই চেয়েছে তার রাজ্য যেন ব্রোকেন ফ্যামিলি বিলং না করে। তার ছেলেটা যেন বাবার আদর থেকে বঞ্চিত না হয়। সে জন্য পরী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তারই প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পেলাম ১৬ আগস্ট গানবাংলার অফিসে। কিন্তু সেটাও ওয়ার্ক করলো না সম্ভবত। এখানে আমি পরীর কোনো দায় দেখছি না। নিশ্চয়ই এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে ১৮ আগস্ট রাতে, যেটা পরী প্রত্যাশা করেনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App