বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান বর্তমানে স্ত্রী গৌরী ও সন্তানদের নিয়ে আবর সাগরের তীরে 'মান্নত'-এর মত প্রাসাদোপম বাড়িতে থাকেন।

তবে এই উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ সময় লেগেছে শাহরুখের। কোনও কিছুই দ্রুত হয়ে যায়নি।

জানা যায়, দিল্লি ছেড়ে মুম্বাই আসার পর এক পরিচালকের বাড়িতে থাকতেন শাহরুখ। তারপর গৌরীর সঙ্গে বিয়ের পর ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন শাহরুখ।

পরবর্তী সময়ে মুম্বাইয়ের কার্টার রোড এলাকায় একটা ৩ কামরার ফ্ল্যাট কেনেন কিং খান।

জানা যায়, বর্তমানে ওই ফ্ল্যাটটি নাকি মাসিক ৩ লাখ টাকায় ভাড়া দিয়ে রেখেছেন শাহরুখ।

তবে অনেকেই হয়ত জানেন না, একসময় শাহরুখের সেই বাড়ি নাকি বড়ই ছোট মনে হয়েছিল শাশুড়ি সবিতার।

আর একথা নিজেই এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন শাহরুখ।শাহরুখকে প্রশ্ন করা হয়, গৌরী খানের মায়ের নাকি তার মুম্বাই পেন্টহাউসটিকে ছোট বলে মনে হত? এটা কি সত্যি?

উত্তরে কিং খান বলেন, হ্যাঁ, আসলে উনি দিল্লির বাসিন্দা এবং রাজধানী শহরের বহু লোক বাংলো বাড়িতে থাকতেই অভ্যস্ত। আর মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাট কালচার দিল্লির লোকজনের পছন্দ নয়।

দিল্লিবাসীরা ফ্ল্যাটে থাকা পছন্দ করেন না। ফ্ল্যাটির ছাদ ছিল ত্রিভূজের মতো, সেখানে শাহরুখের শাশুড়ির জামাইয়ের বাড়িটিকে জাহাজের মতো মনে হতো।

এদিকে গৌরী খান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তাদের 'মান্নত'-এর বাড়ির রাশও নাকি তার মা সবিতার হাতে।

গৌরী বলেন, দিল্লিতে থাকলেও মান্নতের অদৃশ্য রিমোট কন্ট্রোল আছে সবিতার হাতে। মান্নতের সব কাজ পরিচালনা করা,  বিশেষ করে মান্নতের সব কর্মীদের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে ফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখেন তার মা।

ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার থেকে মন্নতের প্রতিদিনের খাবারের ম্যানু বলে দেয়া সবই নাকি করেন শাহরুখের শাশুড়ি।

গৌরী মনে করেন, এভাবে এক ঢিলে দুই পাখি মারার কাজ হয়ে যায়। কারণ একদিকে তার মায়ের সময় কেটে যায়, অন্যদিকে কর্মীরাও সুষ্ঠভাবে কাজ করতে পারেন।