×

বিনোদন

নক্ষত্রের চলে যাওয়ার দিন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম

নক্ষত্রের চলে যাওয়ার দিন

ফাইল ছবি

নক্ষত্রের চলে যাওয়ার দিন

অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়ে বাংলা গানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা সংগীতের মহাতারকা সুবীর নন্দী। হয়তো আরো যোগ হতে পারতো, বাড়তো সংখ্যা। কিন্তু ২০১৯ সালের আকস্মিক এক দুর্ঘটনা সবকিছুকেই স্তব্ধ করে দিলো। ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল নন্দী ও তার পরিবার সিলেটে এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে রাতে ট্রেনে করে ঢাকায় ফেরার পথে হঠাৎ তিনি ট্রেনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেদিন রাত ১১টার দিকে তাকে নেয়া হয় রাজধানীর সিএমএইচে হাসপাতালে। সেখানে জরুরি বিভাগে হার্ট অ্যাটাক করেন এই নন্দিত শিল্পী। এরপর তাকে দ্রুত লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। সিএমএইচে ১৮ দিন থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছিল ৬৫ বছর বয়সী বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে। সেদিনই সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু উন্নতি না হয়ে ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তার একাধিক বার হার্ট অ্যাটাক হয়। শেষ পর্যন্ত ৭ মে চলে যান না ফেরার দেশে। সেদিন ভোর সাড়ে চারটার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা বাংলাদেশি এ কিংবদন্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। দেশবরেণ্য এই সংগীতশিল্পী তার দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। ১৯৮১ সালে প্রথম একক অ্যালবাম সুবীর নন্দীর গান বাজারে আসে ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে। তার প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আবদুস সামাদ পরিচালিত সূর্যগ্রহণ চলচ্চিত্রে এবং প্লেব্যাকে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়া সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার সুবীর নন্দীকে দেয় দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App