×

বিনোদন

তাদের অভাব পূরণ হলো না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০১৮, ১২:৫৪ পিএম

তাদের অভাব পূরণ হলো না
তারা প্রত্যেকে দেশের খ্যাতিমান অভিনেতা। দীর্ঘ সময় ধরে অভিনয় জগতে নক্ষত্রের মতো বিচরণ করেছেন। মঞ্চে, টিভিতে, বেতারে, চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন দাপটের সঙ্গে। দশকের পর দশক মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন দর্শক-সমালোচকদের। নায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করে পরবর্তী সময়ে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে অসাধারণ অবস্থান তৈরি করেছেন। একটা সময় তাদের অভিনয় ছাড়া রুপালি পর্দায় কোনো ছবির কথা ভাবাই যেত না। অথচ এখন তাদের অভাবই সবচেয়ে প্রকট চলচ্চিত্রে। তাদের মতো যোগ্য চরিত্রাভিনেতা সংকটে চলচ্চিত্র নির্মাতারা একপ্রকার দিশাহারা। আনোয়ার হোসেন, গোলাম মুস্তাফা, খলিলউল্লাহ খান এবং শওকত আকবরের অভাব নির্মাতারা অনুভব করেন সব সময়। সেলুলয়েড কাঁপানো এই অভিনেতারা পরপারে চলে গেলেও রেখে গেছেন এমন পদচিহ্ন যা ধরে উত্তরপ্রজন্ম এগিয়ে যাবে বহুদূর। গত ৭ মার্চ ছিল শওকত আকবরের জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষকে মাথায় রেখে প্রয়াত চার অভিনেতাকে স্মরণ করার অজুহাত খুঁজলো ‘মেলা’
  আনোয়ার হোসেন আনোয়ার হোসেন ১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫১ সালে তিনি জামালপুর স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরবর্তী সময়ে ভর্তি হন ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে। স্কুল জীবনে প্রথম অভিনয় করেন আসকার ইবনে সাইখের পদক্ষেপ নাটকে। ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন ১৯৫৮ সালে চিত্রায়িত ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে অভিনয় জীবনে প্রবেশ করেন। এখানে নির্বাচিত হলেন খল-নায়কের চরিত্রে। আনোয়ার হোসেন অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে কাচের দেয়াল, দুই দিগন্ত, সূর্যস্নান, বাহানা, গোধুলীর প্রেম, জানাজানি, উজালা, রাখালবন্ধু, বন্ধন, নবাব সিরাজউদ্দৌলা, অপরাজেয়, সাত ভাই চম্পা, জীবন থেকে নেয়া, অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী, রংবাজ, ধীরে বহে মেঘনা, লাঠিয়াল, বিনিময়, আবির্ভাব, এতটুকু আশা, সুজনসখী, সুন্দরী, এতিম, স্বরলিপি, ছন্দ হারিয়ে গেলা, আঁকাবাকা, পালঙ্ক, রুপালি সৈকতে, নয়নমনি, কুয়াশা, নাগরদোলা, গোলাপী এখন ট্রেনে, সূর্য সংগ্রাম, বড়ভালো লোক ছিল, ভাত দে, জোয়াার এলো, নাচঘর, পালঙ্ক, পরশমণি, শহীদ তিতুমীর, ঈশা খাঁ, অরুণ বরুণ কিরণমালা, চাকর, অনন্ত ভালোবাসা ইত্যাদি। ৫২ বছরের অভিনয় জীবনে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি চলচ্চিত্র জগতে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও মুকুটহীন নবাব নামে খ্যাত। দেশে নির্মিত রাজনৈতিক ছবি, পরিচ্ছন্ন সামাজিক ছবি, লোককাহিনীভিত্তিক ছবি, সাহিত্যনির্ভুল ছবি, পোশাকি ফ্যান্টাসি ছবি , শিশুতোষ ছবিসহ সব ধারার ছবিতে তিনি ছিলেন সাবলীল এক অভিনেতা। তাকে দেখা গেছে শত শত ছবিতে একজন দক্ষ অভিনেতা রূপে। বৈচিত্র্যের দিক থেকে এসব চরিত্র কোনো অংশে কম ছিল না। তার অভিনয় দশকের পর দশক জুড়ে দর্শকদের তৃপ্তি দিয়েছে। এক পরম নির্ভরশীল অভিনেতা হিসেবে নির্মাতাদের কাছে ছিল তার চাহিদা। নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে তার সুঅভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন ১৯৭৫ সালে। আমজাদ হোসেনের গোলাপী এখন ট্রেনেতে সহঅভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পান ১৯৭৮ সালে। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে একুশে পদক প্রদান করা হয় এবং অভিনেতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই পুরস্কার লাভ করেন। ২০১০ সালে প্রদানকৃত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ আজীবন সম্মাননায় ভ‚ষিত হন তিনি। পাকিস্তানের বিশিষ্ট নিগার পুরস্কারও তিনি লাভ করেছেন। ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। গোলাম মুস্তাফা ১৯৩৪ সালের ২ মার্চ বরিশালের দপদপিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গোলাম মুস্তাফা। স্কুলজীবন শুরু হয় পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। ম্যাট্রিক পাস করেন খুলনা জিলা স্কুল থেকে। স্কুল-কলেজ জীবনে নাটকে অভিনয় করা তার শখ ছিল। ঢাকায় আসেন পঞ্চাশের দশকে। ১৯৪৫ সালে বরিশাল অশ্বিনী কুমার টাউন হল মঞ্চে বি.ডি হাবিবুল্লাহ রচিত পল্লীমঙ্গল নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। এটাই তার অভিনিত প্রথম মঞ্চ নাটক। পরিণত বসে ষাটের দশকের শুরুতে গোলাম মুস্তাফা নাট্যাভিনয় শুরু করেন। ঢাকা টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকে নাটকে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৬০ সালে ‘রাজধানীর বুকে’ ছবিতে জমিদারের ভ‚মিকায় প্রথম অভিনয় করেন। প্রথম ছবি থেকেই তিনি খলনায়ক চরিত্রের অপ্রতিদ্ব›দ্বী অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। গোলাম মুস্তাফা বাংলা ও উর্দু মিলে প্রায় তিনশত চলচ্চিত্রে নায়ক, সহনায়ক, খলনায়কসহ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে আলিবাবার চল্লিশ চো, রাজধানীর বুকে, নিজেকে হারায়ে খুজি, রক্তাক্ত বাংলা, রুপালি সৈকতে, সীমানা পেরিয়ে, তিতাস একটি নদীর নাম, সূর্যসংগ্রাম, পদ্মা নদীর মাঝি, এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী, শুভদা, শ্রাবণ মেঘের দিন, ‘ধীরে বহে মেঘনা’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘দেবদাস’, রাজধানীর বুকে, হারানো দিন, চাকা, নাচঘর, দুই রাজকুমার, বলাকা, মন হিসাব নিকাশ, শুভদা, এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী, পীরিত না জানে রীত, নিজেকে হারায়ে খুঁজি, রক্তাক্ত বাংলা, তিতাস একটি নদীর নাম, সূর্যসংগ্রাম, ¯েøাগান, ব্যথার দান, সুরুজ মিয়া, সীমানা পেরিয়ে, সারেং বউ, পদ্মা নদীর মাঝি, চন্দ্রনাথ, দেবদাস, আশা ভালোবাসা, জীবন সংসার, দীপু নাম্বার টু, শ্রাবণ মেঘের দিন ইত্যাদি। গোলাম মুস্তাফা ১৯৮০ সালে এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্বচরিত্রের অভিনেতা, ১৯৮৬ সালে শুভদা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০০১ সালে একুশে পদক সম্মানে ভ‚ষিত হন। তিনি বাচসাস পুরস্কারও লাভ করেন। গোলাম মুস্তাফা ২০০৩ সালের ২০ ফেব্রæয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে একজন শক্তিমান অভিনেতাকে হারায় চলচ্চিত্রাঙ্গন। তিনি চরিত্রাভিনেতা হিসেবে ছিলেন ব্যাপক গ্রহণযোগ্য। চার দশক ধরে বৈচিত্র্যময় নানা চরিত্রে তার শক্তিময় উপস্থিতি দর্শকদের আবিষ্ট করে রেখেছিল। স্বর্ণযুগের অসংখ্য ছবিতে তার অভিনয় মুগ্ধ করে রেখেছিল বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার দর্শকদের। খলিল ১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রæয়ারি সিলেটের কুমারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন খলিল। তার বাবা পুলিশ অফিসার ছিলেন বলে খলিলের শৈশব জীবন কেটেছিল বিভিন্ন জেলায়। ১৯৪৮ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৫১ সালে মদনমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেন। সিলেট মুরারিচাঁদ কলেজ থেকে তিনি স্নাতক পাস করেন। সিনেমায় আসার আগে বেশ কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন। ১৯৫৯ সালে ‘সোনার কাজল’ ছবিতে প্রথম অভিনয় শুরু করেন। জহির রায়হানের ‘সোনার কাজল’ ছবিতে নায়ক হয়ে যান খলিল। প্রথম ছবিতে দুজন নায়িকা ছিলেন একজন সুমিতা দেবী, অপর জন সুলতানা জামান। সোনার কাজল ছবির পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান ও কলিম শরাফি। খলিল অভিনীত দ্বিতীয় ছবি প্রীত না জানে রীত। ছবিটি ১৯৬৩ সালের ১৩ জানুয়ারি মুক্তি পায়। খলিলের তৃতীয় ছবি ‘সংগম’। এ ছবিতে খলিল ও সুমিতা দেবী রোমান্টিক নায়ক-নায়িকা। এরপর নায়ক হিসেবে তিনি একে একে অভিনয় করলেন কাজল (১৯৬৫), ক্যায়সে কঁহু (১৯৬৫), ভাওয়াল সন্ন্যাসী (১৯৬৫), বেগানা (১৯৬৬), জংলী ফুল (১৯৬৮) ইত্যাদি ছবিতে। নায়ক হিসেবে খলিলের শেষ ছবি ‘জংলী ফুল’। ১৯৭৪ সালে ‘উত্সর্গ’ এবং ‘এখানে আকাশ নীল’ ছবি দুটির মাধ্যমে খলিল চরিত্রাভিনেতা রূপে আত্মপ্রকাশ করেন। এস এম পারভেজ পরিচালিত বেগানা ছবিতে প্রথম খলনায়ক হিসেবে খলিল অভিনয় করেন। দুটি ছবি প্রযোজনা করেছিলেন তিনি। একটি সিপাহী অন্যটি এই ঘর এই সংসার। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে- উলঝান, সমাপ্তি, তানসেন, নদের চাঁদ, পাগলা রাজা, বেঈমান, অলঙ্কার, মন্টু আমার নাম, কির মজনুশাহ, কন্যাবদল, মেঘের পরে মেঘ, আলোর মিছিল, এত টুকু আশা, আয়না, মধুমতি, ওয়াদা, ভাই ভাই, বিনি সুতার মালা, মাটির পুতুল, সুখে থাকো, অভিযান, কার বউ, কথা কও, দিদার, আওয়াজ, নবাব, রঙিন নবাব সিরাজ উদ দৌলা, এই ঘর এই সংসার, ভÐ ইত্যাদি। ১৯৭৬ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ‘গুÐা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য। দরাজ কণ্ঠের জন্য দর্শকদের কাছে বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা ছিল খলিলের। অজস্র ছবিতে তিনি নানামুখী চরিত্রে বৈচিত্র্যপূর্ণ অভিনয় করেছেন। তিন দশক ধরে একটানা অভিনয় করেছেন খলিল, সমৃদ্ধ করেছেন চলচ্চিত্র অভিনয়ের ইতিহাস। নতুনদের জন্য স্থাপন করেছেন দৃষ্টান্ত। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরন করেন খলিল। শওকত আকবর শওকত আকবরের জন্ম ১৯৩৭ সালের ৭ মার্চ। তার শৈশবকাল কেটেছে কলকাতার হুগলীতে। স্কুলজীবনে তিনি হুগলি স্কুলে পড়াশোনা করেন। তার বাবা ছিলেন হুগলির ইসলামিক কলেজের প্রভাষক। স্কুলজীবন থেকেই অভিনয়ের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। মঞ্চে মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রথম দেবদাস নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৫০ সালে তৎকালীন পূর্ববাংলার ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন শওকত আকবর। পরের বছরই তিনি মেডিকেল কলেজে এলএমএফ কোর্সে ভর্তি হন। ১৯৫৭ সালের দিকে এ অভিনেতা মেডিকেল কোর্স শেষ না করেই শৌখিন শিল্পী হিসেবে নাট্যজগতে প্রবেশ করেন। শওকত আকবর অভিনীত প্রথম সিনেমা এইতো জীবন ১৯৬৪ সালে মুক্তি পায়। তবে এইতো জীবন সিনেমাটি মুক্তির আগেই ১৯৬৩ সালে তার অভিনীত তালাশ এবং পয়েসে সিনেমা দুটি মুক্তি পায়। অভিনয়কেই তিনি পেশা হিসেবে বেছে নেন। ১৯৬৩ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে আড়াইশ সিনেমাতে অভিনয় করেন শওকত আকবর। শওকত আকবর হাতেগোনা কয়েকটি সিনেমার নায়ক ছিলেন ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৯ সালের মধ্যে। সে সব সিনেমা হলো দিল এক শিশা, ভাওয়াল সন্ন্যাসী, পুণম কী রাত, জুগনু, আওর গম নেহি, এইতো জীবন প্রভৃতি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো আগুন নিয়ে খেলা, ভাইয়া, আখেরি স্টেশন, জংলী ফুল, ওয়েটিংরুম, দিল এক শিশা, বেরহম, হামদাম, অপরিচিতা, অভিশাপ, ভাওয়াল সন্ন্যাসী, শরীফে হায়াত, সাতরং, গৌরী, জীবন থেকে নেয়া, বড় বৌ, টাকা আনা পাই, মোমের আলো, চলো মান গায়ে, আলোর পিপাসা, নতুন সুর, মেঘ ভাঙা রোদ, জানাজানি, আপন দুলাল, ইশারা, অবুঝ মন, ফকির মজনু শাহ প্রভৃতি। শওকত আকবর তার অভিনয় জীবনে ভিখারি থেকে রাজা বাদশা, নিম্নবিত্ত শ্রমিক থেকে অহঙ্কারী শিল্পপতি, যুবক থেকে বৃদ্ধসহ এমন কোনো চরিত্র নেই যে অভিনয় করেননি। তিনি বহু সিনেমাতে রাজার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ চলচ্চিত্রে রাজার চরিত্রে অভিনয় এখনো মানুষের মনে দাগ কেটে আছে। চলচ্চিত্রে অবদান স্বরূপ শওকত আকবর জাতীয় চলচ্চিত্র আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেছেন। অভিমান করে ১৯৯৬ সালে তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে লন্ডনে ছেলের কাছে চলে যান এবং সেখানেই ২০০০ সালের ২৩শে জুন মৃত্যুবরণ করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App