অপেক্ষার অবসান হয়েছে। সারেগামাপা-র ট্রফি ঝুলিতে পুরলেন নীলাঞ্জনা রায়। ২০ সপ্তাহ পর শেষ হাসি হাসলেন ভারতের আলিপুরদুয়ারের নীলাঞ্জনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতোমধ্যেই নীলাঞ্জনাকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন অনুরাগীরা। একটুর জন্য ট্রফি হাতছাড়া হয় হুগলির রাজশ্রী বাগের। তিনি উঠে আসেন দ্বিতীয় স্থানে। সেকেন্ড রানার আপ অর্থাৎ তৃতীয় স্থানে ছিলেন শরৎ শর্মা। নীলাঞ্জনা জিতে নিলেন মারুতি সুজিকি সেলেরিও।

অক্টোবর থেকে জি টিভিতে শুরু হয়েছিল সারেগামাপা ২০২১। এবারের সিজনে শুরু থেকেই বেশ চমক রেখেছিল এই মিউজিক রিয়েলিটি শো। শুধু যে নতুনদের জায়গা করে দিয়েছে এমন নয়, বরং পোড় খাওয়া মিউজিশিয়ানরাও এবার ছিলেন এই রিয়েলিটি শো-তে। সঙ্গে বড় পাওনা ছিল বাংলার ছয় মুখ। ছিলেন স্নিগ্ধজিৎ ভোমিক, অনন্যা চক্রবর্তী, নীলাঞ্জনা রায়, কিঞ্জল চট্টোপাধ্যায়, দীপায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় আর রাজশ্রী বাগ।

তবে মাঝপথেই ভোটে আউট হয়ে যান কিঞ্জল। আর ফাইনালের সপ্তাহখানেক আগে আউট হয়ে যেতে হয় দীপায়নকে। ফাইনালে পৌঁছাল বাদবাকি চার। সাথে সঞ্জনা ভাট আর শরৎ শর্মা। সঞ্জনা দুই মেয়ের মা। গানের তামিলও সেভাবে ছিল না। কিন্তু গায়কীর জেরে প্রথম থেকেই তিনি ছিলেন বিচারকদের হট ফেভারিট। অন্য দিকে, শরৎ শর্মা গান গাইতেন জগ্রাতায়। তবে সারেগামাপা-য় বুঝিয়ে দিয়েছেন প্লে ব্যাক থেকে শুরু করে স্টেজ শো, সবই তার কাছে জলভাত।

এদিন ৬ ফাইনালিস্ট পারফর্ম করেন মঞ্চে। আর প্রত্যেকের গানই নাচিয়ে ছাড়ে স্টুডিওতে উপস্থিত সকলকে। পারফর্ম করেন শংকর মহাদেবন আর বিশাল দাদলানিও। সঙ্গে নিজেদের গান দিয়ে দুই প্রয়াত সংগীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি ও লতা মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধাও জানানো হয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।