×

শিক্ষা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

তীর হারা তরীর হাল ধরবেন কে? উপাচার্যের তালিকায় যারা আছেন

Icon

তানভীর ইবনে মোবারক, জাবি

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩১ পিএম

তীর হারা তরীর হাল ধরবেন কে? উপাচার্যের তালিকায় যারা আছেন

ছবি: ভোরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরকার পতনের এক দফা দাবিতে কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে আসে লাখ লাখ জনতা। কোনো উপায় না পেয়ে দেশত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। তাদের পতনের পর পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোতে। ব্যতিক্রম নয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ও। 

গত ১৫ জুলাইয়ের হামলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের দাবি ছিল, সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের দুই দিনের মধ্যেই গত ৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম পদত্যাগ করেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় সেদিন থেকেই উপাচার্য শূন্য হয়ে আছে। 

একরকম তীর হারা হয়েই যেন জাহাঙ্গীরনগরের তরী চলছে এখন। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও কোষাধ্যক্ষ রাশেদা আখতারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে প্রশাসনের প্রথম ৪টি পদ ফাঁকা হয়ে গেল। ফলে অতিসত্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আহবান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য শূন্য হয়ে যাওয়ায় প্রশাসনিক সর্বোচ্চ এই পদটিতে কারা আসবেন সে নিয়ে আলোচনা চলছে। উপাচার্য হিসেবে যোগ্য এমন শিক্ষকদের অনেকের নাম শিক্ষার্থীরাই তুলে ধরছেন। তবে এই তালিকায় উপরের দিকে যাদের নাম আসছে তাদের মধ্যে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা এগিয়ে আছেন। আওয়ামীপন্থীদের মধ্যে একজনের নামও রয়েছে তালিকার উপরের দিকে। এই তালিকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন একজন, যিনি আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে ছিলেন। এদের মধ্যে অনেকের নাম শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে উঠে এসেছে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্লাটফর্ম থেকে অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন যেহেতু পরিবর্তিত এই পরিস্থিতি ছাত্র জনতাই তৈরী করেছেন সুতরাং শিক্ষার্থীদের দাবির এবং মতের বাইরে গিয়ে কাউকে উপাচার্য নিয়োগ দেয়ার সুযোগ নেই। তথাপি প্রশাসনের শীর্ষ এই পদটিতে যিনিই আসবেন তিনি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলের জন্যই কাজ করে যাবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সবাই। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্টের দিকে তাকালে দেখা যায় উপাচার্য পদে কাউকে আসার জন্য নির্বাচন করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে জরুরি ভিত্তিতে পদশূন্য থাকায় নিয়োগ সরাসরি রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ১১(১) ধারা অনুযায়ী উপাচার্য পদে সিনেট সদস্যদের ভোটে তিন সদস্যের প্যানেল নির্বাচন করা হয়। তিনজন থেকে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য যেকোনো একজনকে বাছাই করে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেন। একই ব্যক্তি এই পদে পুনরায় আরো চার বছর দায়িত্ব পালনের যোগ্য হবেন।

এছাড়া অ্যাক্টের ১১(২) ধারা অনুসারে যদি ছুটি, অসুস্থতা, পদত্যাগ বা অন্য কোনো কারণে উপাচার্যের পদে শূন্য হলে আচার্য ওই পদে দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু উপাচার্যের পর পর্যায়ক্রমে পদত্যাগ করেছে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার। প্রশাসনের সবাই পদত্যাগ করায় সম্পূর্ণ নতুন কাউকেই আসতে হবে পদগুলোতে।  

বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১৬ ধারা অনুযায়ী সিনেটের সচিব রেজিস্ট্রার। এছাড়া উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বিধি অনুসারে তিনি (রেজিস্ট্রার/সচিব) প্যানেল নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়ন/নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করার দায়িত্বও তার। তবে রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করায় বর্তমানে এই পদে স্থায়ী/ভারপ্রাপ্ত/চুক্তিভিত্তিক কেউ নেই। ফলে রেজিস্ট্রার না থাকায় উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের সুযোগ নেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

তারা মনে করেন, সিনেটের সচিব হিসেবে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন রেজিস্ট্রার। যেহেতু এই পদে বর্তমানে স্থায়ী/ভারপ্রাপ্ত/চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কেউ নেই, তাই নির্বাচন আয়োজন পারতপক্ষে সম্ভব নয়। আর আয়োজন করলেও তা বিধিসম্মত হবে না। 

ফলে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতেই উপাচার্য পদে আসবেন বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা বলেছেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাকে চাইবে সেটার বাইরে উপাচার্য হিসেবে কেউ আসলে তার বিরুদ্ধে আরো কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। যিনিই উপাচার্য হিসেবে আসবেন তাকে অবশ্যই ক্যাম্পাসের রানিং কাউকে হতে হবে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবসরপ্রাপ্ত কাউকে উপাচার্য হিসেবে চান না শিক্ষার্থীরা। কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন অবসরে চলে যাওয়া কেউ বিশ্ববিদ্যায়ের কাছে দায়বদ্ধ থাকে না। সুতরাং সাবেক উপাচার্যের সময়ে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না শিক্ষার্থীরা। সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল অবসরে যাওয়ার পরে উপাচার্য পদে আসীন হওয়ায়- এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা হতে দিয়েছেন।

নতুন উপাচার্য হিসেবে আলোচনায় যেসব শিক্ষকের নাম এসেছে তাদের মধ্যে ৪ জন উপরের দিকে। আলোচিত শিক্ষকদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান। বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত হলেও জাবির এই অধ্যাপক যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সুনাম ও আস্থা কুড়িয়েছেন। তিনি শিক্ষকদের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ জাবি শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতির পাশাপাশি অ্যাকাডেমিক ও টক-শো ব্যক্তিত্ব হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। 

অধ্যাপক কামরুল বাংলাদেশ ফিলোসফিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, জাবি শিক্ষক সমিতির সম্পাদকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মেম্বার, হল প্রাধ্যক্ষসহ প্রশাসনিক দায়িত্বও পালন করেছেন। 

তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। তিনি বর্তমানে শিক্ষক সমিতির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে প্রক্টর, হল প্রভোস্ট এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। 

বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে অধ্যাপক সোহেল ৪৫টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশে। সর্বশেষ কোটা সংস্কার আন্দোলনেও শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন এবং কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে কাজ করেছেন।

অধ্যাপক শামসুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের প্রভোস্ট, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান, পরিবহন অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক, উচ্চ শিক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য এবং নির্বাচিত সিনেটর ও সিন্ডিকেট সদস্যসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশেও থেকেছেন। এছাড়া তার অসংখ্য গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে। 

অধ্যাপক মাফরুহি সাত্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ২বার শিক্ষক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত ও সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে সিন্ডিকেটের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি তিনি শিক্ষক সমিতির সম্পাদক, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় সভাপতিসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। অধ্যাপক মাফরুহি বাংলাদেশ জার্নাল অফ লাইফ সায়েন্সেসের সম্পাদকীয় বোর্ডে ছিলেন। তিনি এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশে ৭৮তম স্থান অর্জন করেছেন। এছাড়া যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলন-সংগ্রামে শিক্ষার্থীদের পাশে তাকে দেখা গেছে। 

তালিকায় এই চারজনের বাইরেও আরো কয়েকজন শিক্ষক রয়েছেন যাদের নামও বিভিন্নভাবে আলোচনায় এসেছে। উপাচার্যের পরে প্রশাসনিক আরো যে ৩টি পদ রয়েছে সেগুলোতে তাদের নাম আসতে পারে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে যারা রয়েছেন তারা হলেন- 

অধ্যাপক মো. আবদুর রব বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তিনি ‘জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি জার্নাল অফ সায়েন্সেস’ এর ইডিটরিয়াল বোর্ড মেম্বার হিসেবে কাজ করেছেন। ‘জার্নাল অফ ম্যাথমেটিক্স এন্ড ম্যাথম্যাটিক্যাল সায়েন্সেস’ এর কমিটি মেম্বার ও ইডিটর হিসেবে ছিলেন। সর্বশেষ ১৫ মে ২০২৪ এ অধ্যাপক মো. আবদুর রব গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের নির্বাচিত ডিন হয়েছেন। এছাড়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ১৬ টি প্রকাশনা রয়েছে তার।

অধ্যাপক নূরুল ইসলাম ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক। তিনি যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। জলবিদ্যা, চ্যানেল ফর্ম এবং গতিবিদ্যা, প্লাবনভূমি এবং জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা, ভৌগলিক তথ্য ব্যবস্থা (জিআইএস) গবেষণা পদ্ধতি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উপর কোর্স পড়ান। অধ্যাপক নূরুল বাংলাদেশ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।

অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। তিনি পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি, নির্বাচিত সিনেট সদস্য, প্রকৃতি সংরক্ষণ উদ্যোগ ফোরামের উপদেষ্টা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদকসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ১৯টি গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন। যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশেও তাকে দেখা গেছে। 

অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বিভাগের কার্যালয় থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নামিয়ে ফেলে তিনি বেশ আলোচিত হয়েছেন। তার ১৪ টি গবেষণা প্রবন্ধ এবং একটি গ্রন্থ রয়েছে। এছাড়া হল প্রভোস্ট, ওয়ার্ডেনসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া সিনেটে নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি। 

অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ (অনার্স), এমএ , এমফিল এবং নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তিনি পূর্ববঙ্গের অর্থনৈতিক ইতিহাস (মধ্যযুগীয়), বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাস, সভ্যতার ইতিহাস, বাংলাদেশের উত্থান এবং দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক বিষয়ে পড়ান। অধ্যাপক রব্বানী বর্তমানে নির্বাচিত সিনেটর এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ অ্যাডভান্সড স্টাডিজ এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য। এছাড়া তিনি জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সহ-সভাপতি, আনন্দন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপদেষ্টা এবং রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অফ জাহাঙ্গীরনগরের সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। 

অধ্যাপক মুহম্মদ নজরুল ইসলাম গণিত বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। এমএসসিতে ৭৫ শতাংশের বেশি নম্বর অর্জনের জন্য শরফুদ্দিন স্বর্ণপদক পেয়েছেন। তিনি ২০১৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। অধ্যাপক নজরুল সিনেট সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য, সহকারি প্রক্টর, হলের হাউজ টিউটর, ওয়ার্ডেন, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদকসহ আরো অনেক দায়িত্ব পালন করেছেন। 

শিক্ষকদের মধ্যে এই তালিকায় যারা আছেন তাদের প্রশাসনে আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের প্রত্যাশা একজন দক্ষ, যোগ্য ও নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন, শিক্ষার্থীবান্ধব কেউ এই প্রশাসনে আসবেন। যারা আগামীর জাহাঙ্গীরনগরকে গড়ে তুলবেন শিক্ষা, সমৃদ্ধি ও টেকসই করে। গত ১২ থেকে ১৩ দিন যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন শূন্য হয়ে আছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন এটি কেটে যায় সেই প্রত্যাশাই করছেন নেটিজেনরা। তীর হারা এই তরীর হাল এখন কে ধরবেন সেই অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

চট্টগ্রাম থেকে ওমানগামী উড়োজাহাজের ভারতে জরুরি অবতরণ

চট্টগ্রাম থেকে ওমানগামী উড়োজাহাজের ভারতে জরুরি অবতরণ

হঠাৎ আলোচনায় জেসিয়া ইসলামের গ্ল্যামার, সমালোচনা ও ব্যক্তিগত জীবন

হঠাৎ আলোচনায় জেসিয়া ইসলামের গ্ল্যামার, সমালোচনা ও ব্যক্তিগত জীবন

উত্তাল সাগরে ২১ ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজ

উত্তাল সাগরে ২১ ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজ

মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত বন্ধে এবার রাশিয়ার উদ্যোগ!

মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত বন্ধে এবার রাশিয়ার উদ্যোগ!

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App