এইচএসসি-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করছেন। স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাসহ সব পরীক্ষা দ্রুততম সময়ে কীভাবে নেয়া যায়, তা নিয়েও আমরা কাজ করছি। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সহিংসতায় আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতই থাকবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। পরিস্থিতি শান্ত হলে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। আমরা চাইনা আর কোনো মায়ের বুক খালি হোক। কেউ তার বাবাকে হারিয়েছে, বোন তার ভাইকে হারিয়েছে, স্ত্রী তার স্বামীকে হারিয়েছে। আর এমন অবস্থা হোক সেটি আমরা চাই না।
এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি আছে, তাদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এইচএসসি পরীক্ষার রিশিডিউলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপনারা জানেন, বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে আমাদের পরীক্ষা নেয়া হয়নি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেগুলোরও রিশিডিউল করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার সময়ে মুখোশ পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালিয়েছে । কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা আসলে বলার মতো নয়। আহত শিক্ষার্থীরা বলেছেন, মুখোশ পরে হাতে লাঠিসহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলা দেখে মনে হচ্ছিল তারা প্রশিক্ষিত। এরা কারা, সরকারও এদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরো বলেন, আহত শিক্ষার্থীসহ ভর্তি হওয়া অন্য রোগীদের দেখেছি। আমরা প্রথমেই গুরুত্ব দিচ্ছি, সবার চিকিৎসা যেন নিশ্চিত হয়। সে বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সবাই কাজ করছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করছেন। স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাসহ সব পরীক্ষা দ্রুততম সময়ে কীভাবে নেয়া যায়, তা নিয়েও আমরা কাজ করছি।
শিক্ষামন্ত্রী হাসপাতালে এসেই প্রথমে পুরাতন ভবনে কেবিনে ভর্তি থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদেরও খোঁজ নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।