×

শিক্ষা

ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করে বাঁচিয়ে দেয়ার আশঙ্কা শিক্ষার্থীদের

Icon

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০৬:৩৫ পিএম

তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করে বাঁচিয়ে দেয়ার আশঙ্কা শিক্ষার্থীদের

ছবি: ভোরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচিয়ে দেয়ার আশঙ্কা করে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়ার অগ্রগতি জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলটিমেটাম দিয়েছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পাদদেশে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিভাগটির ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিজ খান। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ফেব্রয়ারিতে বিভাগের এক শিক্ষার্থী ও রাজধানীর অন্য আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থী নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ দেয়। এটি তদন্ত করতে মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলে। দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয়া হলেও আজ দুই মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্তের কোনো অগ্রগতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অন্য দুইটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করতে পারেনি। 

আরো পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু বুধবার থেকে

তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিশেষ কোনো মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে অথবা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কমে গেলে লঘুদণ্ড দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে এই ঘটনায় অগ্রগতি আমাদেরকে জানাতে হবে। দৃশ্যমান কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা না গেলে নিপীড়িত শিক্ষার্থীর ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে আমরা বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারো কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।

এসময় নিপীড়নের সত্যতা পাওয়া গেলে অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ফৌজদারী ব্যবস্থা ও এর সব ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানী ও মানসিক নিপীড়নের বাইরেও বিভাগটির ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় 'ব্যক্তিগত আক্রোশে' নম্বর কম দেয়ার অভিযোগ উঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App