×

শিক্ষা

ঢাবির হলে বাণিজ্যিক শুটিং, হল প্রশাসন জানালো 'মুক্তিযুদ্ধের শুটিং'

Icon

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম

ঢাবির হলে বাণিজ্যিক শুটিং, হল প্রশাসন জানালো 'মুক্তিযুদ্ধের শুটিং'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে নির্মিত ক্লোজআপ 'কাছে আসার গল্পে'র বাণিজ্যিক শুটিং (ভিডিও ধারণ) হলেও হল প্রশাসন জানিয়েছে এতে 'মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক' কোনো শুটিং হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত হলের গেমস রুমে বাণিজ্যিক এই ভিডিও ধারণ করা হয়। 

গেমস রুম বন্ধ থাকা, হলের অভ্যন্তরে শুটিং টিমের সদস্য হিসেবে নারী সদস্যদের উপস্থিতি ও গেমস রুমের নিচে ক্যান্টিনে (জাহাঙ্গীরের ক্যান্টিন) দুপুরে পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়াসহ নানাবিধ অসুবিধায় পড়তে হয় বলে জানিয়েছে হলটিতে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হলটির গেমস রুমে সকাল আটটা থেকে ৫০ জনেরও বেশি সদস্যদের 'উঠপেকারস ফিল্ম' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ক্লোজআপ 'কাছে আসার গল্প'-এর ভিডিও ধারণ শুরু করে। ভিডিও ধারণ ও গেমস রুম ভাড়া প্রসঙ্গেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দুধরনের তথ্য পাওয়া যায়। প্রথমবার প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক হিফজুর রহমান আরাফ বলেন, হল প্রশাসন পুরোপুরি বিনামূল্যে শুটিংয়ের অনুমিত দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন: দায় এড়াতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ: র‍্যাব

অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মোমিন বিশ্বাস বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ট্যান্ডিং' ফি- ১০ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। প্রতিষ্ঠানটির বাকি সদস্যদের থেকে আরো জানা যায়, রুমটি ভাড়া দেয়ার আগে রুমটিকে রং করে দেয়ার শর্ত দেয় হল প্রশাসন। 

গেমস রুমে ভিডিও ধারণ করা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক হিফজুর রহমান আরাফ ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা অনুমতি নিয়ে এখানে ভিডিও চিত্র ধারণ করতে এসেছি। সন্ধ্যা হলে চলে যাবো। আমরা মূলত ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে ফিকশন গল্পের ৬০ থেকে ৯০ সেকেন্ডের একটি শর্ট ফিল্ম বানাচ্ছি। 

হল প্রশাসনের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে হলের সিনিয়র এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মো. আজিজুর রহমান বলেন, কিছুদিন আগে হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি ফিল্মের ভিডিও করা হয়েছিল। এটাও সেরকম একটি ভিডিও। তবে এটি বাণিজ্যিক শুটিং হচ্ছে এমন বিষয়ে জানানো হলে তিনি হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বলেন। 

আরো পড়ুন: জাবির ধর্ষণকাণ্ডে ইউজিসির কমিটি গঠন

সার্বিক বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে মন্ত্রণালয় থেকে একটা চিঠি দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি সিনেমার শুটিং করার অনুমতি নিয়ে। আমরা তখন সহায়তা করেছিলাম। এবারও ওইরকমই একটা কথা বলা হয়েছিল যে ৩০ সেকেন্ডের একটা ভিডিও নিবে। কমার্শিয়াল ভিত্তিতে আমি কোনো অনুমতি দেইনি। দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে অনুমতি দিয়েছি। হয়তো সেটা ভুল হতে পারে। এরপরে যদি এরকম কোনো আবেদন আসে, আমরা সতর্ক থাকবো। 

ভিডিও করার জন্য গেমস রুম ভাড়া দেয়া প্রসঙ্গে ড. আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে আরো বলেন, শুটিংয়ের জন্য ভাড়া নেয়া হয়েছিল। তবে সেটি ৮-১০ হাজার টাকার বেশি নয়। 

হলের অভ্যন্তরে বাণিজ্যিক শুটিং করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক ভিডিও শুটিং করার বিষয়টিকে আমরা অনুৎসাহিত করি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান তাই আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিষয়গুলোকে সবসময় অনুমতি দেই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App