×

শিক্ষা

জাবিতে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট সিনেটরদের মানববন্ধন

Icon

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম

জাবিতে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট সিনেটরদের মানববন্ধন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সংঘটিত গণধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট সদস্যবৃন্দ।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন রাস্তার পাশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপাচার্য ড. শরীফ এনামুল কবিরসহ অন্যান্য রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট সিনেট সদস্যবৃন্দ।

ড. শামসুল আলম সেলিম বলেন, আজ আমরা বিভিন্ন দল মতের সবাই একত্রিত হয়েছি। সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা অপকর্ম করে তাদের বিতাড়িত হতে হবে। আমরা চাই নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের দাবি গুলো বাস্তবায়ন হোক। আমরা উপাচার্যকে বলতে চাই এর দায় আপনার উপরেই বর্তাবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হতে হবে। একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরেও তাকে এখনো বহিষ্কার করা হয়নি। সাময়িকভাবে বরখাস্তও করা হয়নি। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে তার ব্যাপারে শাস্তির দাবি করছি। ব্যবস্থা গ্রহণ না নেয়ার জন্য কিন্তু ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়েছে। এছাড়া গণরুমের সংস্কৃতি, গেস্টরুম সংস্কৃতি যেসকল হলে রয়েছে সেগুলো যেন দূর করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমি দাবি জানাচ্ছি সিন্ডিকেটে যে দাবিগুলো তোলা হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করুন। 

আরো পড়ুন: শিক্ষায় পদ্মা সেতুর চেয়ে বড় প্রকল্প নেয়া হবে

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সারা পৃথিবী জুড়ে যে নিন্দার ঝড় বইছে সেটাকে বন্ধ করতে চাই এবং এজন্য আমি এখানে এসে দাঁড়িয়েছে। আমি জানি কিভাবে ছেলেমেয়েদেরকে আদর সোহাগের মাধ্যমেও শাসনে রাখতে হয়। কিন্তু আপনারা শুধু আদর দিয়ে রাখবেন সেটা আমরা চাই না। এই নিপীড়নদের পক্ষে যারা দাঁড়িয়েছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত। 

আশীশ কুমার মজুমদার বলেন, আমরা সব সময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা যেনো আর না ঘটে তাই অবিলম্বে বিচার সম্পন্ন করতে হবে। হলে অছাত্ররা অবস্থান করছে আর বৈধ শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমরা দেখতে চাই ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অবৈধ ছাত্ররা হল ছেড়ে দিয়েছে।

ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, আমরা আজ এখানে ধর্ষণ ও গণরুমের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করতে এসেছি। আমরা চাই যারা ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের ফাঁসি দেয়া হোক। হলে ২৫০০ নয়, খুঁজে দেখেন পাঁচ হাজার ছাত্র অবস্থান করছে। অছাত্ররা হলে অবস্থান করে আর বৈধ শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবন যাপন করে। অবিলম্বে হল থেকে গণরুম উচ্ছেদ করতে হবে। হলের প্রাধ্যক্ষ, ওয়ার্ডেনদের হলে থাকতে হবে। হলে ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে যেনো ছেলে মেয়েরা হলে ফিরে আসে সে ব্যবস্থা করতে হবে। হলের পাশের দোকান উচ্ছেদ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো দোকানের টাকায় চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অটো রিকশা বন্ধ করা হোক।

আরো পড়ুন: নারী-পুরুষ আলাদা না ভাবলে উন্নত বিশ্বের মতো এগিয়ে যাব

উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি আমাদের (সিনেটর) ভোটে নির্বাচিত উপাচার্য। আপনি কেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ভয় পান। আমরা আপনার সাথে আছি। আপনি মনে রাখবেন পাঁচ দিন মানে পাঁচ। এরপরে যেন একজন অছাত্র, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, বহিরাগত যেন আবাসিক হলে স্থান না পায়। ২১ টা হলের প্রভোস্ট একসঙ্গে যদি তাদের হলে অভিযান পরিচালনা করেন তাহলে কোন অবৈধ শিক্ষার্থীর সাহস নেই তাদের সামনে দাঁড়ানোর।

এর আগে, গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ আবাসিক হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৌশলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও মামুনুর রশীদ মামুন। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App