×

শিক্ষা

শিক্ষামন্ত্রী

‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম

‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের আলোচিত ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে এনটিসিবির সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধন করা হবে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, যদি একটি গল্প নিয়ে প্রতিক্রিয়া হয়, কেন হচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। একটি সংগঠন থেকে কিছুদিন আগে আমার কাছে কিছু সুপারিশ দেয়া হয়েছিল। কওমি মাদরাসার কিছু শিক্ষক এসেছিলেন। তারা দাবি করেছেন যে, এখানে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টির বিষয়টি তারা আমাদের নজরে এনেছিলেন। আমরা যখন আলোচনা করেছি, তখন দেখেছি শব্দটা ট্রান্স জেন্ডার নয়, থার্ড জেন্ডারের, বলেন নওফেল। গল্প উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কোনো বিভ্রান্তি থাকলে বা গল্পটি ভিন্নভাবে উপস্থাপনের সুযোগ থাকলে সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে পরিবর্তন আনা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চাইলেই কারিকুলাম পরিবর্তন করা যায় না। এর সঙ্গে একটি বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে। প্রতিবছর টেক্সটবুকে পরিবর্তন আসে। সেখানে কোনো বিতর্ক থাকলে পরিবর্তন আনা যেতে পাবে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, তবে হঠাৎ করে কারিকুলামে পরিবর্তন আনা যায় না। তবে পাঠ্যবই এবং এর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় আনা যেতে পারে, তাও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে।

এর আগে গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার একটি গল্পের (শরীফার গল্প) পাতা জনসম্মুখে ছিড়ে ফেলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। জাতীয় শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে পাঠ্যপুস্তকের দুটি পাতা ছেড়েন তিনি।

বইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন মাহতাব। এসময় সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ টাকা দিয়ে বইটি বাজার থেকে কিনতে বলেন তিনি। পরে বইয়ের ট্রান্সজেন্ডারের গল্প থাকা দুটি পাতা ছিঁড়ে আবার দোকানে ফেরত দিতে বলেন।

ওই ঘটনার পর রবিবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মাহতাব লেখেন, ‘আজকে আমি ব্র্যাকে রেগুলার ক্লাস নিয়েছি। আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস নিতে না যাই। আমি জানি না হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত তারা কেন নিল। আমাকে কোনো কারণ তারা দেয়নি।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App