×

শিক্ষা

সমন্বয়হীনতার খেসারত

আটকে আছে তিন শ্রেণির পাঠ্যবই লেখার কাজ

Icon

অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম

আটকে আছে তিন শ্রেণির পাঠ্যবই লেখার কাজ

ছবি: সংগৃহীত

২০২১ সালে হওয়া চতুর্পক্ষীয় একটি চুক্তি অনুযায়ী নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক শিক্ষা যেখানে শেষ হবে সেখান থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শুরু হওয়ার কথা। বাস্তবে নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিকের শিক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ২০২২ সালে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শুরু হয়ে গেছে। 

এর ফলে বড় ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম এবং মাধ্যমিকের দশম শ্রেণির পাঠ্যবই লেখার কাজ আটকে আছে। এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে মাধ্যমিকের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে প্রাথমিকের বই নতুবা প্রাথমিকের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে মাধ্যমিকের বই আবার পাল্টে দিতে হবে। 

এমন জটিলতা নিরসনে গত ডিসেম্বরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তারা কয়েক দফা বৈঠক করলেও লাভ হয়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ২৭ জানুয়ারি সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাদের মধ্যে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এতে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী উপস্থিত থাকবেন।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সেই চুক্তির আলোকে প্রাথমিকের শিক্ষা হওয়ার কথা ‘সক্রিয় শিখন পদ্ধতি’তে। সেই পদ্ধতি যেখানে শেষ হবে সেখান থেকে শুরু হবে মাধ্যমিকের শিক্ষা। কিন্তু প্রাথমিকের শিক্ষাক্রমের সঙ্গে মিল না রেখেই ‘মাঝপথে’ ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ‘অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষা’ চালু করা হয়। এক্ষেত্রে চতুর্থ ও পঞ্চমের কী হবে তা আমলে নেয়া হয়নি। পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের যেসব কর্মকর্তা এ কাজের বিরোধিতা করেছিলেন তাদের সবাইকে বদলি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গত দুই বছরে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে বদলি হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা। এর মধ্যে শুধু গত ৬ মাসেই পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে বদলি করা হয়েছে কমপক্ষে ৩৫ জনকে। এরকম টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই চুক্তি মেনে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত চালু হয় ‘সক্রিয় শিখন পদ্ধতি’। এই পদ্ধতিতে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন পাঠ্যবইও লেখা হয়েছে- যা ২০২৩ সাল থেকে শিশুরা পড়াশোনা করছে। অপরদিকে মাধ্যমিক শিক্ষায় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অভিজ্ঞতা শিখন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে। এরকম পরিস্থিতিতে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির বই ‘সক্রিয় শিখন পদ্ধতি’ না ‘অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন পদ্ধতি’তে লেখা হবে সেই নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ রকম জটিলতায় পড়ে দশম শ্রেণির নতুন বই কীভাবে লেখা হবে তারও কোনো সমাধান হচ্ছে না।

জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোরের কাগজকে বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা পাস হলেও এ নিয়ে কিছু কিছু জায়গায় সমন্বয়হীনতার কথা বলা হচ্ছে। এসব ঘাটতি পূরণ করে যাতে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় সেজন্য আগামী ২৭ জানুয়ারি শিক্ষা এবং গণশিক্ষার দুইজন মন্ত্রীর উপস্থিতিতে কর্মশালা ডাকা হয়েছে। আশা করছি, ওই কর্মশালায় সব জটিলতা কেটে যাবে এবং এরপর থেকে দ্রুতগতিতে ৪র্থ, ৫ম এবং ১০ম শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই লেখা শুরু হবে।

তবে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে সেই বোর্ডেই কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষাক্রম উইংয়ের সদস্য অধ্যাপক মোখলেস উর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, সমন্বয়হীনতার কিছু নেই। কিছু বিষয় আলোচনা হবে। তবে তিনটি শ্রেণিতে বই লেখার কাজ আটকে থাকার কথা তিনি স্বীকার করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রম নিয়েই আন্দোলন হচ্ছে। পাল্টালে তাদেরটি পাল্টানো উচিত। প্রাথমিকের কেন পাল্টানো হবে?

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ২০২১ সালের ৪ মে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের উপস্থিতিতে এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পঞ্চম শ্রেণির প্রান্তিক যোগ্যতা পূরণ করে যেভাবে হস্তান্তর করা হবে- সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা শুরু হবে। প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রমের সামঞ্জস্য বিধানের জন্য প্রাথমিক শিক্ষাক্রম উইংয়ের সদস্যকে দায়িত্বও দেয়া হয়। এরপর প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম চুক্তিপত্রে সই করেন। এখন পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে শুধু মো. মশিউজ্জামানই কর্মরত আছেন। প্রাথমিকের মহাপরিচালক অবসরে, মাধ্যমিকের মহাপরিচালক পিএসসির সদস্য এবং প্রাথমিকের সদস্য এ কে এম রিয়াজুল হাসান ওএসডি। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি শিক্ষার পরিবর্তে সমাজকল্যাণমন্ত্রী এবং সাবেক উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপমন্ত্রী থেকে পদোন্নতি পেয়ে শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী প্রাথমিকে ‘সক্রিয় শিখন পদ্ধতি’তে পাঠ্যবই লেখার কথা। সেই অনুযায়ী প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এই পদ্ধতিতে পাঠ্যবই লেখাও হয়। পরবর্তী সময়ে এই পদ্ধতিতেই ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির বই লেখার কথা। কিন্তু অতিউৎসাহী কয়েকজন সেই সিদ্ধান্ত না মেনে সক্রিয় শিখন পদ্ধতির বাকি তিনটি ধরনকে বাদ দিয়ে শুধু অভিজ্ঞতাকে রেখে ষষ্ঠ থেকে নতুন বই লেখা শুরু করেন। এর ফলে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে ফাঁক রয়ে যায়। 

প্রসঙ্গত, সক্রিয় শিখন পদ্ধতির চারটি ধরন রয়েছে। এগুলো হলো- অনুসন্ধান মূলক শিখন, সমস্যা সমাধানভিত্তিক শিখন, প্রকল্পভিত্তিক শিখন ও অভিজ্ঞতামূলক শিখন। অতিউৎসাহীরা তিনটি ধরন বাদ দিয়ে শুধু অভিজ্ঞতাভিত্তিক দিয়ে মাধ্যমিকের বই শুরু করায় এখন এসে জটিলতা ধরা পড়েছে। এর ফলে কোনো কোনো বিশ্লেষক বলেছেন, মাধ্যমিকের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে প্রাথমিকের বই আবার পাল্টে দিতে হবে। নতুবা প্রাথমিকের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে মাধ্যমিকের বই পাল্টাতে হবে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষাক্রম উইংয়ের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান সোমবার ভোরের কাগজকে বলেন, এমন জটিলতার আশঙ্কা করে ওই সময়ই প্রতিবাদ করেছিলাম। এর ফলে আমাকে ওএসডি হতে হয়েছে। তিনি বলেন, অতিউৎসাহী হয়ে কাজ করলে এমন পরিণতি অবধারিত।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, ১৯৮৮ সাল থেকে গবেষণা শুরু করে ১৯৯২ সালে এসে বাংলাদেশে প্রাথমিক স্তরে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু হয়। সেই সঙ্গে প্রথম থেকেই কার্যক্রমভিত্তিক শিখন শেখানো পদ্ধতি শুরুর চেষ্টা করা হয়। অর্থাৎ যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমের সঙ্গে সক্রিয় শিখন পদ্ধতি জড়িত। কারণ তা শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক এবং মুখস্থ বিদ্যা ও নিষ্ক্রিয় শিখনকে নিরুৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছিল। অন্যদিকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম ২০২১ সাল পর্যন্ত উদ্দেশ্যভিত্তিক হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। যেখানে শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় পাঠ্যপুস্তকের পাঠ কেন্দ্রিক কিছু উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য নিয়োজিত থাকতেন। ফলে এটি শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক ছিল না। শিক্ষাক্রমে পাঠসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রকম কার্যাবলির উল্লেখ থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি শিক্ষার্থীকে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু মুখস্থ করার দিকে উৎসাহিত করত।

এরই মধ্যে গত তিন দশকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম শুরুর পর ২০১৮ সালে এসে বাংলাদেশে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম যোগ্যতাভিত্তিক কাঠামোতে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়। এজন্য দুই স্তরের শিক্ষাক্রম সমন্বয় করার জন্য একটি অভিন্ন জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়। সেক্ষেত্রে আগের উদ্দেশ্য ও প্রান্তিক যোগ্যতার পরিবর্তে অভিন্ন রূপকল্প, অভিলক্ষ্য, ১০টি মূল যোগ্যতা ও ১০টি শিখনক্ষেত্র ভিত্তিক যোগ্যতার সন্নিবেশে যে শিক্ষাক্রম রূপরেখা প্রণয়নের কাজ শুরু হয় সেটির ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়। এতে আগের মতো যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রণয়নের পরীক্ষিত রীতি অনুযায়ী মূল শিখন ক্ষেত্রভিত্তিক যোগ্যতা থেকে প্রাথমিক স্তরের শিখনক্ষেত্রভিত্তিক যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে বিষয়ভিত্তিক আবশ্যকীয় শিখনক্রম প্রণয়ন করা হয়। সবশেষে বিষয়ভিত্তিক বিস্তৃত শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়। এক্ষেত্রে ২০১৭-২০১৮ সালে পরিচালিত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও চাহিদা নিরূপণ এবং প্রচলিত শিক্ষাক্রমের কার্যকারিতা যাচাই নামক দুটি গবেষণা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশের ভিত্তিতে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়। অন্যদিকে এনসিটিবির মাধ্যমিক শাখা প্রাথমিক স্তরের যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রণয়নের তিন দশকের অভিজ্ঞতা ও রীতিনীতিকে কাজে না লাগিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে অভিনব পদ্ধতিতে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম প্রণয়নে অগ্রসর হয়। তারা শিখন শেখানো পদ্ধতি, পাঠ্যপুস্তকের বিন্যাস ও মূল্যায়ন পদ্ধতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রচলিত কোনো কিছুর সঙ্গে মিল না রেখে নতুন নতুন ধ্যান-ধারণা প্রবর্তনে উদ্যোগী হয়। ফলে সম্পূর্ণ নতুন এই শিক্ষাক্রমটি বাস্তবায়ন পর্যায়ে এসে বাধার মুখে পড়ে।

বিরোধিতা করে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে যারা বদলি হয়েছেন 

জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের যেসব কর্মকর্তা নতুন শিক্ষাক্রমের ত্রুটি উল্লেখ করেছিলেন তাদের বদলি করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাক্রমের দায়িত্ব ছিল পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের। তার বিরুদ্ধে যারা কথা বলতেন তাকেই শিক্ষাক্রম বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। শুধু চিহ্নিতই নয়, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনিকে গিয়ে বলা হতো, ওই কর্মকর্তা নতুন শিক্ষাক্রম চান না। এদের বদলি করতে হবে। অথচ অতিউৎসাহীদের কর্মকাণ্ডে গত বছর সরকার দুটি পাঠ্যবই প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল। এমনকি গত ডিসেম্বরে এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক), বিতরণ নিয়ন্ত্রকসহ ৫ জনকে বদলি করা হয়।

নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষাক্রম শাখা যাদের বদলি করা হয়েছে তাদের মধ্যে অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান (সদস্য, প্রাথমিক শিক্ষাক্রম উইং), অধ্যাপক কুরাতুল আয়েন সরদার, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, মো. আব্দুল মুমিন মোছাব্বির, ড. মুহাম্মদ মনিরুল হক, মো. আবু সালেক খান, ফেরদৌস আলম কবীর, অধ্যাপক মো. মুনাব্বির হোসেন, মো. জুবেরী, মো. তৈয়বুর রহমান, মো. জিল্লুর রহমান, শাহ তসলিমা সুলতানা, খন্দকার মনজুরুল আলম, মোস্তফা সাইফুল আলম, হাসমত মনোয়ার ও মো. আবুল বাসার রয়েছেন।

মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম থেকে যাদের বদলি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জাহিদ বিন মতিন, মো. হুমায়ুন কবির, সাবেরা তাহমিনা, সানজিদা আরা, ড. মো. ইকবাল হায়দার, নুরুল হক, আলেয়া পারভিন, ফৌজিয়া পারভীন, পারভেজ আক্তার, জিয়াউল হক জিয়া, মো. জাকির হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান, সৈয়দ মাহফুজ আলী ও রাকিব হাসান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App