×

শিক্ষা

চবি ফিশারিজ বিভাগে শিক্ষক সংকট, সেশনজটে শিক্ষার্থীরা

Icon

অনিন্দিতা সরকার প্রথা, চবি থেকে

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম

চবি ফিশারিজ বিভাগে শিক্ষক সংকট, সেশনজটে শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের ফিশারিজ বিভাগে চলছে শিক্ষক সংকট। এতে করে শিক্ষার্থীরাও যেমন সংকটে রয়েছেন তেমনি সৃষ্টি হয়েছে সেশন জটের। কিন্তু শিক্ষক সংকট নিরসনে নিয়োগ দেয়া হচ্ছেনা নতুন কোন শিক্ষকের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দোহাই দিচ্ছে - এখানে শিক্ষকের আর কোন পদ নেই, তাই নতুন শিক্ষকও নিয়োগ দেয়া যাচ্ছেনা। মাত্র তিনজন শিক্ষক ও অতিথি শিক্ষক দিয়ে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে বিভাগটিতে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হলেও তার কোন সমাধান হয়নি। অথচ চবিতে অতি সম্প্রতি কয়েকটি বিভাগে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে শিক্ষক সমিতি প্রতিবাদ ও আন্দোলন সংগ্রাম করছে।   

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাবেক শিক্ষার্থী জানান, "আমি এই বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী। আমি মাস্টার্স শেষ করে সার্টিফিকেট হাতে পেতে প্রায় সাত বছর লেগেছে। এটি মূলত হচ্ছে শিক্ষক সংকটের কারণে”।  তিনি আরও বলেন," বিভাগটিতে শিক্ষক আছেন মাত্র তিনজন। শিক্ষক সংকট মেটাতে অতিথি শিক্ষকদের দিয়ে ক্লাস করানো হয়। ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী প্রচুর পরিমাণে ক্লাসলোড থাকা সত্ত্বেও কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছেনা।"

একই বিভাগের গাজী ফখরুল আমিন নামে ২০১৭-১৮ সেশনের মাস্টার্স শিক্ষার্থী ভোরের কাগজ প্রতিনিধিকে জানান, "বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি ২০১৮ সালে। করোনার কারণে দেরি হলেও আমাদের সেশনের অন্যান্য বিভাগের ছাত্ররা পাশ করে বেরিয়ে গেছে। আমরা এখনও আটকে আছি।" তিনি বলেন, "বিভাগের শিক্ষক থেকে শুরু করে স্টাফ সবকিছুতেই সংকট। একটা বিভাগ চালাতে যত লোকবল লাগে আমাদের বিভাগের তা নেই।"

এ বিষয়ে ফিশারিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আজম খান বলেন, "আগে আমাদের এত সেশন জট ছিলো না। ৬-৭ মাসের মত জট ছিলো, সেটাও কমিয়ে আনা যেত। কিন্তু করোনার কারণে আমরা প্রায় একবছর পরীক্ষা নিতে পারিনি, তবে ক্লাস করিয়েছে। মাস্টার্সেও থিসিসের জন্য গবেষণার কাজ আটকে থাকায় এক বছরের জট সৃষ্টি হয়েছে। সেটার প্রভাবই নিচের সেশনগুলোর উপর পড়ছে।"  তিনি আরো বলেন, ‘ এটা তো প্রশাসনের বিষয়। বিভাগ থেকে রিকুইজিশন দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোন সুরাহা হয়নি।’ ২০১৮ সাল হতে ফিশারিজ বিভাগ আলাদা হয়ে যাওয়ায় গবেষণা খাতে আলাদা করে বরাদ্দ হলেও এখনও চালু হয়নি ল্যাব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমি এতদিন প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলাম না। দু’সপ্তাহ আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি। তাই বাজেটের টাকা কোথায় গেছে আমি জানিনা।"

এই বিভাগটিতে নতুন পদসৃষ্টির জন্য চবি প্রশাসন থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে কিনা জানতে চেয়ে চবি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App