×

শিক্ষা

আসন সংকট

নিরসনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, উপাচার্যের আশ্বাসে ফিরলেন শিক্ষার্থীরা

Icon

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম

নিরসনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, উপাচার্যের আশ্বাসে ফিরলেন শিক্ষার্থীরা

ছবি: ভোরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসন সংকট নিরসনের দাবিতে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) গভীর রাত পর্যন্ত আন্দোলন করেছেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। প্রথমে মৈত্রী হলের অফিসের সামনে এবং রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। 

এসময় দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা আসন সংকট সমস্যার সমাধান, হলে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিসহ বিভিন্ন দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে প্রশাসনের কার্যকরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এর আগে, গত মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে হলটির শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের 'ডাবলিং' করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ, রিডিংরুমের বিকল্প ব্যবস্থা না করে মনোয়ারা ভবন ভাঙার প্রতিবাদসহ হলের নানা সংকট সমাধানের দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রথমে হল অফিসের সামনে অবস্থান নেন।

তারা জানান, শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে হল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। হল প্রশাসনের কোনো প্রতিক্রিয়া না পেয়ে পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উপাচার্য ভবনের দিকে আসতে চাইলে প্রক্টরিয়াল টিম হলের মূল ফটকে তালা দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আগামী ৭ দিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিলে রাত পৌনে ২টার দিকে হলে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।

কুয়েত মৈত্রী হলে আবাসন সংকট নতুন নয়। এর আগেও গত বছরের আগস্টে হলের সিটসংকট সমাধানে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। সে সময় সাবেক উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান সিটসংকট সমাধানের আশ্বাস দেন। তবে সম্প্রতি ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর হলের মনোয়ারা ভবন থেকে ছাত্রীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া শুরু করে হল প্রশাসন। হলের প্রধান ভবনের ছয়জনের রুমে সাতজন করে দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে হলের আবাসিক ছাত্রীরা নতুন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে হলটির স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী নুসরাত ইমরোজ বলেন, হলে আসন সংকট প্রকট। রিডিংরুমে পড়ার জন্য জায়গা পাওয়া যায় না। আলাদা কোনো রান্নাঘর না থাকায় নিজের রুমেই রান্না করতে হয়। রুমেই পড়াশোনা করতে হয়। এ জন্য আমরা কিছুদিন আগে দাবি তুলেছিলাম এক রুমে ছয়জনের বেশি থাকবে না। সেই দাবি তখন মেনে নিলেও এখন আবার শীতকালীন ছুটির সুযোগে প্রতিটি রুমে একজন করে ছাত্রীকে সিট দেয়া হচ্ছে।

স্নাতকোত্তরের আরেক শিক্ষার্থী লিমা আক্তার বলেন, মাত্র দুই মাস আগে আমাকে সিঙ্গেল সিট দেয়া হয়েছিল। এখন আমার সঙ্গে আবারো 'ডাবলিং' করতে বলে অন্য এক ছাত্রীকে সিট দিয়েছে। এটা নিয়ে আবাসিক শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা আমার গার্ডিয়ানকে ফোন দেয়ার হুমকি দেন। সিট কেটে দেয়ার হুমকি দেন। এসময় তিনি হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে 'হাউজ টিউটর'দের খারাপ ব্যবহার বন্ধ করার দাবি জানান। 

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ভূমিকম্পের পরে আমি নিজে হল পরিদর্শনে গিয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে ছাত্রীদের সরিয়ে নেয়ার কাজ চলমান রয়েছে। হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এর একটি সুন্দর সমাধান করা হবে। রাতে ছাত্রীদের সঙ্গে প্রশাসনের কথা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বাসে হলে ফিরে গেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App