×

শিক্ষা

ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

Icon

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৮ পিএম

ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্দোলন করেন। ছবি: ভোরের কাগজ

  • অ্যাকডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে অব্যহতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই ইন্সটিটিউটের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। 

প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে। এবং যৌন নিপীড়ন সেলকে আগামী তিন মাসের মধ্যে ফলাফল জানাতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি ভোরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই বিভাগের নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে এবং তিন মাসের মধ্যে ফলাফল জমা দিতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। 

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে নিজ কক্ষে পরামর্শের জন্য ডেকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠে অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দেয় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। 

এছাড়াও ২৯ নভেম্বর এ ঘটনায় শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের বাসভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে উপচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ভিত্তিতে গত (৩০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যদের এক সভায় অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে। 

ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রধান ছিলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীমা জামান। এছাড়া সদস্য হিসেবে ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ এবং সহকারি প্রক্টর সঞ্চিতা গূহ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App