×

শিক্ষা

ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিসত্ত্বা ও সৃজনশীলতা বিলুপ্ত হচ্ছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম

ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিসত্ত্বা ও সৃজনশীলতা বিলুপ্ত হচ্ছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ‘নবীন বরণ ও অগ্রায়ন’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সাবেক তথ্য কমিশনার ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। ছবি: ভোরের কাগজ

ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিসত্ত্বা ও সৃজনশীলতা বিলুপ্ত হচ্ছে
সাবেক তথ্য কমিশনার ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান বলেছেন, ডিজিটাল যুগে মানুষের ব্যক্তিসত্ত্বা ও সৃজনশীলতা বিলুপ্ত হচ্ছে। প্রযুক্তি মানুষের চিন্তা চেতনায় হস্তক্ষেপ করছে এবং স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ কমে যাচ্ছে। আজ রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ‘নবীন বরণ ও অগ্রায়ন’ অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গোলাম রহমান আরো বলেন, আমরা যতক্ষণ অনলাইনে থাকি ততক্ষণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের পর্যবেক্ষণ করে। সে অনুযায়ী আমাদের প্রতিটি কাজে হস্তক্ষেপ করে। যেটি আমরা দেখতে পায়, যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্দিষ্ট কিছু কন্টেন্ট ও বিজ্ঞাপন বারবার চলে আসে যেগুলো আমাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। তাই প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে দায়িত্বশীল ও প্রযুক্তি বান্ধব হতে হবে। গোলাম রহমান বলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য মানবীয় যোগাযোগ ও তথ্য নিয়ে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজের অবারিত সুযোগ উন্মুক্ত রয়েছে। কিন্তু আমরা এ ব্যাপারে খুব কম লোকই অবগত আছি। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশে সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও এ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু আশার বিষয় হলো, বাংলাদেশে নতুন নতুন সংবাদপত্র বাজারে আসতেছে। এছাড়াও প্রিন্ট পত্রিকার পাঠক কমলেও অনলাইনে ই-পেপারের গ্রহণযোগ্যতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিসত্ত্বা ও সৃজনশীলতা বিলুপ্ত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যতগুলো বিভাগ আছে তার মধ্যে অন্যতম একটি বিভাগ। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাজ করছে। দেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখছে। যেটা অত্যন্ত গর্বের একটা বিষয়। বাংলাদেশের অনেক সনামধন্য ব্যক্তিত্ব এ বিভাগেরই শিক্ষার্থী। তারা বিভিন্নভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। তিনি আরো বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কিছু না থাকলেও অনেক কিছু হচ্ছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে। বিগত বছর এপিএ বাস্তবায়নে ৪৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩য় হয়েছে। দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদক শাহেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, আপনারা নিজেদের যোগাযোগের নেটওয়ার্কটা বড় করুন। সম্পর্ক বাড়ান। এটিই আপনাকে এগিয়ে দেবে। নতুন নতুন জিনিস করতে উৎসাহিত করবে। এখানে কেউ শিক্ষক কেউ সাংবাদিক হবেন। এর বাইরের বড় জগৎ নিয়েও আমাদের চিন্তা করতে হবে। এজন্য একাগ্রচিত্তে কাজ করতে হবে। তাড়াহুড়ো করবেন না। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে অনেক পরিবর্তন এসেছে।আপনাদের সুযোগ অনেক। যদি আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারি, আমাদের জন্য পৃথিবী উন্মুক্ত। আপনারা বেশি বেশি বন্ধু তৈরি করবেন। কম বন্ধু থাকা আমাদের জগৎকে ছোট করে দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী তৈরির সুযোগ রয়েছেন। বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিস্তার জাহান কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আবুল হোসেন, বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশরাফুল আলম ও সহকারী অধ্যাপক মিনহাজ উদ্দীন। এরপর একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App