×

শিক্ষা

১ জানুয়ারি থেকে নিবন্ধনহীন প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪২ পিএম

১ জানুয়ারি থেকে নিবন্ধনহীন প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ

১ জানুয়ারি থেকে নিবন্ধনহীন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ।

১ জানুয়ারি থেকে নিবন্ধনহীন প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ

১ জানুয়ারি থেকে নিবন্ধনহীন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ। প্রতীকী ছবি

আগামী বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকে নিবন্ধন ও পাঠদান স্বীকৃতি ছাড়া কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব বিদ্যালয়কে আইনের আওতায় আনতে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এ তথ্য জানান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আগামী সপ্তাহে নীতিমালা প্রকাশ করা হবে। নীতিমালা প্রকাশের তিন মাসের মধ্যে নিবন্ধন ও পাঠদান স্বীকৃতির আবেদন না করা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, বেসরকারি প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বিধিমালার খসড়া আইন মন্ত্রনালয় অনুমোদন দিয়েছে। এখন তা এসআরও নম্বরের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এসআরও নম্বর হলে বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এর মধ্য দিয়ে সরকারের নিবন্ধন বা একাডেমিক স্বীকৃতি ছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে কোনো প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারবে না। তবে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ বিধিমালার আওতায় আসবে না বলে জানান সচিব।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, কিন্ডারগার্টেন, নার্সারি স্কুল, হাই স্কুল সংযুক্ত প্রাথমিক শাখাসহ সব ধরণের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নিবন্ধন বা একাডেমিক স্বীকৃতি নিতে হবে। তবে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এর আওতায় আসবে না।

মাত্র ১০ শতাংশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিবন্ধন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও ৯০ শতাংশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের বাইরে। কাজেই শুধু সরকারি স্কুল দিয়ে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন সম্ভব হবে না। সে কারণে আমরা সব জায়গায় হাত দিচ্ছি। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নিবন্ধনের বাইরে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় যাতে না থাকে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য একাডেমিক স্বীকৃতি ও এক বছরের জন্য নিবন্ধন দেয়া হবে বলে জানিয়ে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, শর্ত পূর্ণ করতে পারলে সরকার একাডেমিক স্বীকৃতির সময় বৃদ্ধি করবে, অন্যথায় স্বীকৃতি বাতিল করা হবে। বর্তমানে যেসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে, তাদেরও স্বীকৃতি লাগবে। বিধিমালা প্রকাশের পর তাদের তিন মাস সময় দেওয়া হবে।

সচিব আরও বলেন, বিধিমালায় আমরা কিছু শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছি। যেমন: ঢাকা শহরে স্কুল হলে কতটুকু জায়গা লাগবে, উপজেলা বা বিভাগে হলে কতটুকু লাগবে, ন্যুনতম শিক্ষক ও অবকাঠামো কি থাকতে হবে ইত্যাদি। এছাড়া কোন বই পড়ানো হচ্ছে, কত টাকা টিউশন ফি নেয়া হচ্ছে তা সরকারকে জানাতে হবে। সরকার এগুলো যৌক্তিক না অযৌক্তিক বিবেচনা করবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App