×

শিক্ষা

ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর হেলমেট বাহিনীর হামলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১০:০৫ পিএম

ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর হেলমেট বাহিনীর হামলা

ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর হেলমেট বাহিনীর হামলা। ছবি: ববি প্রতিনিধি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও শেরে বাংলা হলে ঢুকে হেলমেটধারী ছাত্রলীগ নামধারী এক গ্রুপের হামলায় প্রতিপক্ষের ৭ নেতাকর্মী আহতের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৫ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আহতরা সবাই ছাত্রলীগের রক্তিম-বাকি গ্রুপের সদস্য বলে জানা যায়। আহতদের শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ধারী মুয়ীদুর রহমান বাকি, সাইমুন ইসলাম, ইরফান হোসেন রাজ, ইবনে গালিব, রাকিবুল হোসেন রনি, সোহেল রানা, আয়াত উল্লাহ।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোন কমিটি না থাকলেও ছাত্রলীগ পরিচয়ে কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছে। একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বরিশালের সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী সিফাত গ্রুপ এবং পরে তা নাভিদ গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এই সময়ে ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ রক্তিম ও বাকি গ্রুপের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোণঠাসা ছিল। কিন্তু বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের পরে মেয়র পরিবর্তন হলে ক্যাম্পাসের দখল চলে যায় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুকের অনুসারী রক্তিম ও বাকি গ্রুপের হাতে। মূলত তারা বেশ কিছু মাস যাবৎ ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হলে অবস্থান করছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ১১টার দিকে শান্ত-নাভিদ-শরীফ গ্রুপের নেতা মুবাশ্বির রিদমের নেতৃত্বে ২০-২২ জন হেলমেট ও মাক্স পরে প্রথমে শের ই বাংলা হলে যায়। তারা হলে ঢুকে হলের প্রধান গেট আটকে দেয় এবং শিক্ষার্থীদের কক্ষগুলো বাইরে থেকে আটকে দেয়। তারা চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় গিয়ে কয়েকটি কক্ষ তল্লাশি করে। এরপর শেরে বাংলা এবং বঙ্গবন্ধু হলের মধ্যবর্তী মাঠ পেরিয়ে সরাসরি বঙ্গবন্ধু হলের চতুর্থ তলায় প্রবেশ করে তারা ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।

আহত শিক্ষার্থী সাইমুন ইসলাম জানান, রাতে গণিত বিভাগের মুবাশ্বির রিদমের নেতৃত্বে বাংলা বিভাগের তাহমিদ জামান নাভিদ, ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের আল সামাদ শান্তসহ আরও ২০ থেকে ২২ জন মুখোশ ও হেলমেটধারী হামলা করে। হামলায় আমরা অন্তত সাতজন আহত হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর এই পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করে।

আরেক আহত মুয়ীদুর রহমান বাকি বলেন, আমাদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের অধিকাংশই বিগত দিনে নানা অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত। কিন্তু তারপরও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এভাবে হামলা চালানোর সাহস পেয়েছে তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, রাতে হামলার বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত আছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুবাশ্বির রিদমের মোবাইল ফোনে কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় তিনি এবং তার অনুসারীরা এখন হলে অবস্থান করে হল নিয়ন্ত্রণ করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App