×

শিক্ষা

শ্রেণিকক্ষ আনন্দে ভরপুর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩, ০৭:৫৮ এএম

শ্রেণিকক্ষ আনন্দে ভরপুর

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী।

পড়ালেখায় আগে যেটা কো-কারিকুলাম বা এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিস ছিল সেটাই বর্তমান কারিকুলামে মূল শিক্ষা হয়ে চলে এসেছে। অর্থাৎ হাতে-কলমে শিক্ষা। এরফলে শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা থেকে বেরিয়ে আসবে। আনন্দ পাবে। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শিখতে পারবে। দলগতভাবে পড়াশোনার কারণে মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার প্রবণতা বাড়বে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হওয়া নতুন শিক্ষা পদ্ধতি ও মূল্যায়ন নিয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন রাজধানীর নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, একজন মায়ের সঙ্গে যেমন সন্তানের সম্পর্ক হয় ঠিক তেমনি শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষকের সম্পর্ক হতে হবে। এই সম্পর্ক না হলে পড়াশোনার নতুন এই পদ্ধতি কাজে আসবে না। তবে নতুন এই পদ্ধতি নিয়ে শুরুতেই একটু ধাক্কা ছিল। কিন্তু গত ছয় মাসে ধাক্কা অনেকটাই কেটে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে এখন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দু’পক্ষই বেশ আগ্রহী। শ্রেণিকক্ষ আনন্দে ভরপুর থাকে।

গত জানুয়ারিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর প্রায় ৬ মাস পেরিয়ে গেছে। এই সময়ে আপনার চোখে কী পরিবর্তন ধরা পড়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভিকারুন নিসায় এরই মধ্যে দুটি মেলা হয়ে গেছে। একটি পুষ্টি মেলা ও একটি স্বাস্থ্য মেলা।

দুটো মেলাই ষষ্ঠ ও সপ্তমের শিক্ষার্থীরা আয়োজন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ে পুষ্টি মেলা আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা দেখিয়েছে, কোনটা সুষম খাবার, কোনটা শরীরের জন্য উপাদেয় নয়, কোন ফল কীভাবে রাখতে হয় তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ। স্বাস্থ্য মেলায় শিক্ষার্থীরা কীভাবে মাস্ক পড়তে হয়, ভিটাসিন সি ও ডি কোন কাজে লাগে- এসব বিষয় তারা মেলায় উপস্থাপন করেছে। একজন শিক্ষক হিসেবে তাদের এই উপস্থাপন আমাকে আনন্দ দিয়েছে।

আনন্দের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আগে সুষম খাবার, ভিটামিন সি ও ডি সম্পর্কে মুখস্থ করতে হত। নতুন পদ্ধতিতে তারা স্কুলেই দলগতভাবে ভাগ হয়ে মেলা ও উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে পুরো বিষয়টি শিখে নিয়েছে। এই শিক্ষা জীবনে আর ভুল হবে না। এই উপস্থাপনার মধ্য দিয়েই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। আগে যারা মুখস্থ করে এসে ভালো লিখতে পারত শুধু তারাই ভালো নম্বর পেত। এতে একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হত। নতুন শিক্ষাক্রমে তা নেই। হাতে কলমে যারা ভালো বুঝতে পারবে, শিখতে পারবে- তারা এগিয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পড়াশুনা শুরু হয়েছে। ছয় মাসে এসে এখন তাদের ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App