×

শিক্ষা

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, জাবিতে স্নাতক ফাইনালে খাতা বাতিল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৩, ১০:৫২ পিএম

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, জাবিতে স্নাতক ফাইনালে খাতা বাতিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার একটি কোর্সের প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁস করে পরীক্ষার কক্ষে সেই উত্তরপত্র নিয়ে প্রবেশ করার অভিযোগে খাতা বাতিল করা হয়েছে জাহিদ মোস্তফা নামে এক শিক্ষার্থীর।

রবিবার (১১ জুন) টপিকস ইন বায়োকেমিষ্ট্রি নামে ৪৩৩ নম্বর কোর্সের পরীক্ষাচলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রসায়ন ভবনের ২০৭ নম্বর রুমে দুপুর দুইটায় পরীক্ষা শুরুর চার-পাঁচ মিনিট পর কোর্স শিক্ষক অধ্যাপক নাসরিন জুয়েনা অভিযুক্ত জাহিদের রোল নম্বর ধরে তাকে সন্দেহের এক পর্যায়ে তার কাছে সম্পূর্ণ লিখিত উত্তরপত্র সহ একটি উত্তরপত্র পাওয়া যায়। পরে পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার উত্তরপত্র বাতিল করা হয়।

সূত্র আরো জানায়, অধ্যাপক জুয়েনা ৪র্থ বর্ষের (৪৭ ব্যাচের) দুইটি কোর্স নিয়েছেন। এর মধ্যে প্রথমটিতে অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীর ইনকোর্সে খুব কম নম্বর পেলেও লিখিত অংশে অনেক বেশি নম্বর পাওয়ায় দ্বিতীয় পরীক্ষায় ওই পরীক্ষার্থীর বিষয়টি যাচাই করার একপর্যায়ে সম্পূর্ণ লিখিত উল্টরপত্রসহ তিনি নতুন আরেকটি খাতা আবিষ্কার করেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক জুয়েনা বলেন, তার কাছে নকল পাওয়া গেছে ও পরীক্ষার খাতা এক্সপেল হওয়ার মত যথেষ্ট এভিডেন্স পাওয়া গেছে। তখন আমরা খাতা বাতিল করে চেয়ারম্যানের কাছে রিপোর্ট করে পাঠিয়ে দিয়েছি।

প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ফাঁসের বিষয়ে এমন ঘটনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আরজু মিয়া ভোরের কাগজকে বলেন, আমি শুনছি ব্যাপারটা। এটা হয়ত কোন কারণে লিক হয়ে গেছে। ছেলেটা কিভাবে কোথথেকে যে পাইছে এটা তা ইনকোয়ারী না করে বলতে পারবো না। পরীক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে যতটুকু সিকিউরিটি ম্যানটেনন করার করেছি। কিন্তু সে কিভাবে প্রশ্ন পাইছে বা পাইছে কিনা এজন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যান মাহবুব কবির স্যারকে বলা হয়েছে ইনকোয়ারী করার জন্য কমিটি করে দিতে।

এদিকে, ফাইনাল পরীক্ষার্থী একাধিক পরীক্ষার্থী নাম না প্রকাশ শর্তে জানান, পরীক্ষার হলে বাইরে থেকে উত্তরপত্রে সব প্রশ্নের উত্তর লিখে প্রবেশ করার মাধ্যমে বলা যায় সে এর আগেও এভাবে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এর দায় কোনোভাবেই পরীক্ষা কমিটির এড়ানোর সুযোগ নেই। চূড়ান্ত পরীক্ষায় এ অবস্থা কোনভাবেই কাম্য নয়। তাই এই কোর্সের পরীক্ষা বাতিল করে নতুন প্রশ্নপত্রে আবার পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত জাহিদ মোস্তফার সঙ্গে মুঠোফোনে ও টেক্সটের মাধ্যমে ভোরের কাগজের এই প্রতিনিধি যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাননি।

উল্লেখ্য, তিন সদস্যবিশিষ্ট চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটিতে অন্য দুজন হলেন একই বিভাগের অধ্যাপক ডিএম শফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক তাহমিনা হক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App