জোর-জবরদস্তি করে সৃজনশীলতা নষ্ট করা যাবে না
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৩, ০৬:৪২ পিএম
রবিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, ২০২৩ এর জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণের আগে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: ভোরের কাগজ
রবিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, ২০২৩ এর জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: ভোরের কাগজ
রবিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, ২০২৩ এর জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: ভোরের কাগজ
ফার্স্ট-সেকেন্ড আর জিপিএ-৫-এর জন্য যে অতি উত্তেজনা ও শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার (১১ জুন) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, ২০২৩ এর জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা নিজেদের জীবনে যা করতে পারিনি, সন্তানের মাধ্যমে তা করতে চাই। সেজন্য বাচ্চাদের চাপাচাপি, জোর-জবরদস্তি করে সেদিকে নিয়ে যেতে হবে এমন মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এগুলো শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা নষ্ট করে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সারাক্ষণ অন্যের সন্তানের সাথে তুলনা করতে থাকি। প্রত্যেকটি মানুষ ভিন্ন ও বৈচিত্র্য। একেকজন মেধা, আগ্রহ, প্রতিভা, সক্ষমতা একেক দিকে। মা-বাবা শিক্ষকেরা যদি সেটা চিন্তা করে বাচ্চাদের সেদিকে একটু অনুপ্রাণিত করেন তাহলে আমরা সমাজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতা দেখবো।
[caption id="attachment_438730" align="aligncenter" width="1600"] রবিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, ২০২৩ এর জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে দীপু মনি আরো বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ আমাদের সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে পড়াশোনা করবে। মুখস্থ তো নয়ই, এখানে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দক্ষতাও অর্জন করবে। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমি চাই শিক্ষার্থীরা বই মুখস্থ করবে না, তারা অভিজ্ঞতা, প্রকল্পভিত্তিক শিখনের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করবে। আগামীর দিনটাই প্রযুক্তির, আমাদেরকে প্রযুক্তি শিখতে হবে, উদ্ভাবনও করতে হবে। অন্যরা উদ্ভাবনা করবে, আমরা শুধু ব্যবহার করবো তা কিন্তু হবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক -১) খালেদা আক্তার।
[caption id="attachment_438731" align="aligncenter" width="1600"] রবিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, ২০২৩ এর জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগ প্রতিবছর বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা বাস্তবায়ন করে থাকে। প্রতিযোগিতাটি ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তিনটি বিভাগ ও পাঁচটি বিষয়ে হয়ে থাকে।
বিষয়গুলো হলো: ভাষা ও সাহিত্য, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, গণিত ও কম্পিউটার, বাংলাদেশ স্টাডিজ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ স্টাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ। চলতি বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩-১৫ মার্চ, উপজেলা পর্যায়ে ২০-২১ মার্চ, জেলা পর্যায়ে ৩ মে, বিভাগীয় পর্যায়ে ৯ মে এবং জাতীয় পর্যায়ে ১৫ মে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে জাতীয় পর্যায়ে ১৫ জন শিক্ষার্থী ‘বছরের সেরা মেধাবী’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। যাদের প্রত্যেকে আজ রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ, ক্রেস্ট (পদক), মেডেল ও এককালীন বিশেষ মেধাভিত্তিক বৃত্তি হিসেবে দুই লাখ টাকার চেক গ্রহণ করেছেন।
পরে শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে বিকেলের এই অনুষ্ঠানে বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ী ১২০ জনের প্রত্যেকে সনদ, ক্রেস্ট (পদক), মেডেল ও ৩০ হাজার টাকার চেক গ্রহণ করেন।