×

শিক্ষা

ছয় দফা দাবিতে ঢাবি ছাত্রীদের মানববন্ধন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:৫৬ পিএম

ছয় দফা দাবিতে ঢাবি ছাত্রীদের মানববন্ধন

রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রীদের মানববন্ধন। ছবি: ভোরের কাগজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীদের জন্য পাঁচটি আবাসিক হলে অনাবাসিক ও এক হলের ছাত্রীদের অন্য হলে ঢোকার ব্যবস্থা করাসহ নানা সংকট নিরসনে ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।

রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আগামী তিন দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানান। দাবি মানা না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তারা।

এসময় মানববন্ধনের অন্যতম আয়োজক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সম্পর্ক বিভাগের ও শামসুন্নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশরেফা তাসনিম বলেন, হলের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ভবনে তালা মেরে দেয়া হয়। কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে কোনো মেয়ে সেখান থেকে রক্ষা পাবে না। এক হলের মেয়েরা আরেক হলে ঢুকতে পারে না। এমনকি, অনাবাসিক মেয়েরা নিজেদের হলে ঢুকতে পারেনা। মেয়েদের হলে ফার্মেসি নাই। খাবারের দাম নেয়া হয় অনেক বেশি কিন্তু মান ও পরিমান অনেক কম। মেয়েদের হলে মা-বোনদের ঢুকতে দেয়া হয় না।

তিনি আরও বলেন, রোকেয়া হলে ওয়ারড্রোব ঢুকাতে দেয় না, শামসুন্নাহার হলে আবার পাঁচ তাকের ওয়্যারড্রোব রাখতে দেয় না। কেন? এখান থেকে লাফ দিয়ে কেউ আত্মহত্যা করবে? হলে কোনো সিলিং ফ্যান নাই। সিলিং ফ্যান থাকলে এখানে নাকি আত্মহত্যা করবে!

গেস্টরুমে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কোনো মেয়ে অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসার জন্য কোনো ফার্মেসি ও ঔষধের ব্যবস্থা নাই। ডাকসু থাকাকালীন অনেক সুযোগ সুবিধা পেত মেয়েরা। কিন্তু আজ ডাকসু না থাকায় মেয়েরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

এসময় কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থী রাফিয়া রেহনুমা রিদি বলেন, ডাকসু না থাকার কারণে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে মেলবন্ধন নাই। প্রশাসনের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে শিক্ষার্থীরা অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। শিক্ষকরা ঠিকই বেতন নেন কিন্তু হলগুলোতে নূন্যতম কোনো মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা হয় না। আজকে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে কোন মেলবন্ধন নেই। প্রশাসন এই দাবিগুলো মেনে নিক। এতে করে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে দূরত্ব কমে আসুক।

শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম বলেন, খাবারের মান আর রুমগুলো নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হই। হল প্রশাসনকে বললে তারা কিছু করতে পারে না। যেসব পরিবেশে রান্না করা হয় এখানে খাওয়ার কোনো উপায় নেই। অনেকে রান্না করতে বেসিনের পানি নিতে বাধ্য হয়, কারণ ফিল্টারে কোনো পানি নেই।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো...

অনাবাসিক ও এক হলের ছাত্রীদের অন্য হলে ঢোকার ব্যবস্থা করা; খাবারের মান বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা; পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার স্থাপন করা; হলের কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য কমানো এবং ছাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ; হলে ফার্মেসী স্থাপন এবং কোনো ছাত্রী রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করা; ও অগ্রীম অ্যাপ্লিকেশন ছাড়া নাম এন্ট্রির মাধ্যমে রাত ১১.৩০ টা পর্যন্ত লেট গেইট দিয়ে ঢোকার ব্যবস্থা করা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App