বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, সামিটসহ ৫ গ্রুপ চেয়ারম্যানের কর ফাঁকি যাচাই
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
দেশের বড় বড় গ্রুপ অব কোম্পানির কর্ণধারদের কর ফাঁকির অনুসন্ধানে এবার তৎপর হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানরা হলেন- বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম প্রমুখ।
দেশের বিভিন্ন বড় বড় গ্রুপের কর্ণধাররা দীর্ঘদিন ধরেই নানান উপায়ে কর ফাঁকি দিয়ে আসছেন বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে। এমনকি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তারা প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিকভাবে সুবিধা ভোগ করেছেন, এমন অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর পরিস্থিতি বদলে যেতে শুরু করে। ড.মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেয়। এর অংশ হিসেবে এসব প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকি, অবৈধ সম্পদ খুঁজে পেতে বিশেষ অনুসন্ধান শুরু করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইসি)।
আরো পড়ুন: নগদের পুরোনো বোর্ড ও প্রধান নির্বাহী থাকবে না
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন জানান, বিভিন্ন পন্থায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সিআইসি। সংস্থাটি বর্তমান সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ পর্যালোচনা এবং সুনির্দিষ্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য কর ফাঁকিবাজদের তালিকা সম্পন্ন করেছে।
তিনি আরো জানান, পর্যায়ক্রমে অভিযুক্ত এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আয়কর আইন, ২০২৩ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ফাঁকিকৃত কর উদ্ধারের পাশাপাশি শাস্তিমূলক কার্যক্রম ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় বেক্সিমকো, নাসা, সামিট, বসুন্ধরা ও ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং এদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আয়কর ফাঁকির তথ্য অনুসন্ধানে এনবিআরের সিআইসি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন, সঞ্চয় অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে। সিআইসির বিশেষ অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সৈয়দ এ মুমেন।