ক্রেডিট কার্ড বিল, ঋণ ও ডিপিএসের কিস্তি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বাড়তি সুদ ছাড়াই ক্রেডিট কার্ডের বিল, ঋণ ও সঞ্চয় স্কিমের কিস্তির অর্থ পরিশোধ করার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অনেক গ্রাহক তাদের বিল বা কিস্তি দিতে পারেন নি। নির্দেশ মোতাবেক আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এসব টাকা পরিশোধ করতে পারবে গ্রাহকরা। যেসব ব্যাংক ইতোমধ্যে বাড়তি ফি নিয়েছে তা দ্রুত সমন্বয় করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে। ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও একই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অনেক ঋণগ্রহীতা ও ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক বকেয়া অর্থ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে পারেন নি। অনেক আমানতকারি ডিপোজিট পেনশন স্কিমসহ (ডিপিএস) বিভিন্ন সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে পারেন নি। এ রকম অবস্থায় ১৮ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের পরিশোধযোগ্য অর্থ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করলে বকেয়া অর্থের ওপর কোনো সুদ, দণ্ড সুদ, অতিরিক্ত সুদ, বিলম্ব ফি বা জরিমানা আদায় করা যাবে না। ইতোমধ্যে কোনো ব্যাংক বিলম্ব ফি আদায় বা আরোপ করলে গ্রাহককে তা ফেরত বা সমন্বয় করতে হবে।
আরো পড়ুন: ব্যাংকের কিছু শাখা খুলেছে
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, ডিপিএসসহ বিভিন্ন সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করলে এ ক্ষেত্রেও কোনো বিলম্ব ফি বা জরিমানা আদায় করা যাবে না। এ সময়ে কোনো সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি পরিশোধে গ্রাহকের অসমর্থতার কারণে তা বন্ধ বা বাতিল করা যাবে না। আবার পূর্বঘোষিত হারের তুলনায় কম সুদও দেয়া যাবে না।
১৮ থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে যেসব ঋণের কিস্তি দেয়ার তারিখ থাকলেও যারা দিতে পারেন নি আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করলে আর বাড়তি ফি, সুদ, দণ্ড সুদ যে নামেই অভিহিত করা হোক নেয়া যাবে না। সঞ্চয় স্কিমেও এ সময়ের কিস্তি দিতে না পারলে বিলম্ব ফি নেয়া যাবে না বা সুদ কম দেয়া যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, এই সময়ে অনেকে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে চাইলেও পরিস্থিতির কারণে পারেন নি। তাই এই সময়ের দায় কোনোভাবে গ্রাহকের ওপর পড়তে পারে না। এ জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।