×

অর্থনীতি

আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণও পাচ্ছে বাংলাদেশ

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:০১ পিএম

আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণও পাচ্ছে বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

তৃতীয় কিস্তিতেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১১৫ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশে সফররত আইএমএফ’র প্রতিনিধিদল বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রো-ইকোনমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ। 

তবে সংবাদ সম্মেলনে ঋণ ছাড়ের ব্যাপারে সরাসরি কোনো কথা তারা বলেননি। এ বিষয়ে তারা বলেন, আমরা সফরের পর প্রাথমিক ফলাফল তৈরি করেছি। এর ভিত্তিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে নির্বাহী বোর্ডের কাছে জমা দেয়া হবে। বোর্ড পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। 

বাংলাদেশের অর্থনীতির ব্যাপারে প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলায় কিছু সংস্কার কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- মুদ্রার বিনিময় হারের পুনর্বিন্যাস, সুদের হার বাড়ানো অন্যতম। আর সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সংস্কার চলমান রাখা অপরিহার্য।

প্রসঙ্গত, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফের সঙ্গে ৪.৭ বিলিয়ন (৪৭০ কোটি) ডলারের ঋণ চুক্তি করে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে এই ঋণ ছাড় করার কথা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তিতে আইএমএফ ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের ঋণ ছাড় করে। আর ডিসেম্বরে ছাড় করে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। তৃতীয় কিস্তির ঋণ ছাড় এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি পর্যালোচনায় গত ২৪ এপ্রিল দলটি ঢাকায় আসে। এবারের সফরে ঋণ পেতে বেঁধে দেয়া শর্ত ও সংস্কার কতটা পূরণ হয়েছে সেই বিষয়গুলোই খতিয়ে দেখেছেন আইএমএফের বিশেষজ্ঞ দলটি। মোটা দাগে বাজেটের আকার, রাজস্ব আয়, যৌক্তিক ভর্তুকি নির্ধারণ ও নিট রিজার্ভ নিয়ে নতুন করে লক্ষ্যমাত্রা ও সুপারিশ দিয়েছে এই পূর্বমূল্যায়ন দল। 

প্রতিনিধিদলটি অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসেকা আয়েশা খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, অর্থ সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে। এসব বৈঠকের পর বাংলাদেশের ব্যাপারে আগের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। 

ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেন, আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। এখন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাহী বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষে ১১৫ কোটি মার্কিন ডলারের কিস্তির ছাড় দেয়া হবে। এর মধ্যে আইএমএফের এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) এবং এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি থেকে ৯৩ কোটি ২০ লাখ ডলার এবং  রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় ২২ কোটি ডলার। 

তিনি বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে পেট্রোলিয়ম পণ্যের জন্য ফর্মুলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় নীতি বাস্তবায়ন করেছে। মূল্যস্ফীতি সহ নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিনিময় হার পুনর্বিন্যাসে বাংলাদেশ ব্যাংক যে-সব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App