×

অর্থনীতি

৩ বছরে ৪ শতাংশ বেড়েছে নন কটন পোশাক রপ্তানি : বিজিএমইএ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম

৩ বছরে ৪ শতাংশ বেড়েছে নন কটন পোশাক রপ্তানি : বিজিএমইএ
  • ১৮ বিলিয়ন বিনিয়োগে ৪৬ বিলিয়ন রপ্তানি করা সম্ভব: গবেষণা প্রতিবেদন

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে নন-কটন গার্মেন্টস খাতে ১৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে, তাহলে ২০৩২ সালের মধ্যে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করতে সক্ষম হবে বলে এক গবেষণায় বলা হয়েছে। রবিবার (৩ মার্চ) বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে লঞ্চিং রিপোর্ট অন বেইওন্ড কটন: এ স্ট্রাটেজিক ব্লু প্রিন্ট ফর ফাইবার ডাইভারসিফিকেশন ইন বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। 

গবেষণার কাজটি করেছে ভারতীয় গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ওয়াজির অ্যাডভাইজর লিমিটেড। গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন এ প্রতিষ্ঠানের বিজনেস ডিরেক্টর বরুন বৈদ্য। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর পরিচালক আসিফ আশরাফ, স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম প্রমুখ। 

বরুণ বৈদ্য জানান, বিশ্বব্যাপী নন-কটন ফাইবার ৭৫ শতাংশ পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের নন-কটন ফাইবার ব্যবহারের সম্ভাবনা বেশি কারণ বিশ্বব্যাপী মানবসৃষ্ট ফাইবার পোশাকের চাহিদা বাড়ছে, গবেষণায় দেখা গেছে। তিনি বলেন, গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যদি ১৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে, তাহলে ২০৩২ সালের মধ্যে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের নন-কটন গার্মেন্টস আইটেম রপ্তানি করতে সক্ষম হবে।

এ খাতে বাংলাদেশের আরো বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গত তিন বছরে নন কটন পোশাক রপ্তানি ৪ শতাংশ বেড়েছে। গত ৩ বছরে দেশের নন কটন রপ্তানি ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পোশাক শিল্পে নন কটন খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ এসেছে। আমাদের নন কটন ফাইবার ও টেক্সটাইল খাতে কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। অর্থাৎ এই খাতে পোশাক রপ্তানি আরো বাড়বে। 

ফারুক হাসান বলেন, কৃত্রিম ফাইবার ব্যবহার করে বিজিএমইএ স্থানীয়ভাবে তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারের শেয়ার ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে উন্নীত করতে চায় কারণ কৃত্রিম তন্তু থেকে তৈরি পণ্যের দাম বেশি। তবে নন কটন খাতে বাংলাদেশকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে এগিয়ে থাকায় তারা কম দামে নন কটন দিয়ে তৈরি পোশাক সরবরাহ করতে পারে। যেখানে আমাদের নিজস্ব কাঁচামাল না থাকায় কাঁচামাল আমদানি করে নন কটন রপ্তানি করতে খরচ বেশি পড়ে। তাই এক্ষেত্রে সরকারের নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।

এছাড়া নতুন করে বিদ্যুতের বাড়তি দাম পোশাক খাতের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেবে। তাই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি জানান। তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রভাবে দেশে পোশাক তৈরির খরচ বেড়ে যাবে। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ায় পোশাক রপ্তানিতে প্রতিযোগিতার মুখে পড়বেন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক উৎপাদক ও  রপ্তানিকারকরা। এ পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক পোশাক রপ্তানি খাতের কথা চিন্তা করে সরকারের প্রতি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে বিদ্যুতের দাম কমানো উচিত বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App