×

অর্থনীতি

বাংলাদেশে খনিজ সম্পদ উত্তোলনে অবহেলা কেন?

মিজানুর রহমান সোহেল

মিজানুর রহমান সোহেল

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:০০ পিএম

বাংলাদেশে খনিজ সম্পদ উত্তোলনে অবহেলা কেন?

বাংলাদেশে মহামূল্যবান প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ থাকলেও সেগুলো উত্তোলনে মাথা ব্যথা নেই। ছবি: ভোরের কাগজ গ্রাফিক্স টিম

বাংলাদেশ ও আরব আমিরাত প্রায় কাছাকাছি সময়ে স্বাধীনতা অর্জন করে। সে সময় দুই দেশের ভঙ্গুর পরিস্থিতিও প্রায় একই রকম ছিল। কিন্তু গত ৫০ বছরে আরব আমিরাত অর্থনৈতিকভাবে যেভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ তার ধারের কাছেও নেই। আরব আমিরাতের দ্রুত উত্থানের অন্যতম কারণ ছিল খনিজ সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা। বাংলাদেশেও বহুমূল্যবান প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদের সন্ধান মিললেও তা উত্তোলনে চরম অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা। তবে বাংলাদেশে খনিজ সম্পদ উত্তোলনে কেন অবহেলা করা হয় তার কোনো সঠিক উত্তরও দিতে পারছেন না কেউ। 

বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে মাটির নিচে লুকিয়ে আছে খনিজ সম্পদের অফুরন্ত ভাণ্ডার। কয়লা ও শিলা পাথর (কঠিন শিলা) উত্তোলন শুরু হয়েছে। তবে তা ব্যাপ্তি পায়নি। ভূতাত্ত্বিক জরিপ ও পরীক্ষামূলক ড্রিলিংয়ে তেল, গ্যাস, চুনাপাথর, আকরিক লোহার সন্ধান পাওয়া গেছে। উত্তোলনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। 

ভূবিজ্ঞানীরা বলেন, যে মাটির গভীরে কয়লা থাকে সেখানে হীরক খণ্ড (হীরা) পাওয়া যায়। আজও তা খতিয়ে দেখা হয়নি। তেল গ্যাসসহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদের রুটিন অনুসন্ধান হয়। আশাব্যঞ্জক ফলাফলও মেলে। শুধু উত্তোলনের উদ্যোগ নেয়া হয় না। কখনও উদ্যোগ নেয়ার পরও তা বন্ধ করা হয়। রহস্যেই থেকে যায়। খনিজসহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান করে তা উত্তোলনের ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে জয়পুরহাটে যে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয় তাদের ভূমিকাও সন্তোষজনক নয়। তাই তেল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ উত্তোলনে সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলকে।

বগুড়ায় যমুনার পশ্চিম তীরে যে তেলের মজুদ আছে তা গত শতকের শুরুতে জরিপ করে জানানো হয়েছে। এরপর খনন করা স্থান হঠাৎ বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৯৮২ সালের ১২ ডিসেম্বর সিলেটের হরিপুরে তেলের স্বর্ণদুয়ার উন্মোচিত হলে তেল মজুদের এলাকা নির্ণয়ের জন্য ওই সময়ের প্রযুক্তি ভূকম্পন জরিপের উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর বগুড়া, রংপুর, পঞ্চগড়ে পেট্রোবাংলা ও শেল বাংলাদেশ বিডি লিমিটেড যৌথ জরিপ শুরু করে। ওই সময় বলা হয় বগুড়ার মাটির নিচে তেলের অনেক বড় ভাণ্ডার রয়েছে। 

তেল আছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার শালবাহানে। তারপর হঠাৎ করেই সকল জরিপ বন্ধ করা হয়। ১৯৮৭ সালে বগুড়ার জরিপ দল বলেছিলেন যমুনার পশ্চিম তীরে তেল পাওয়া গেলে দেশের জ্বালানি চাহিদার অনেকটাই মেটানো সম্ভব। উল্লেখ করা হয় হরিপুরে তেল উত্তোলন শুরু হয়েছে। গ্যাসের ক্ষেত্রে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের যে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে বগুড়া পঞ্চগড়ে তেল প্রাপ্তিতে সেই বিচ্ছিন্নতা আর থাকবে না। কারণ যেখানে তেলের আধার মেলে তার আশপাশেই মাটির নিচে আছে গ্যাস, কয়লা, কঠিন শিলা, চুনা পাথর আকরিক লোহাসহ নানা খনিজ। 

দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সব সময় কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলে খনিজ উত্তোলনও সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় কয়লা খনি থেকে কয়লা ও মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলা উত্তোলন শুরু হয় নব্বইয়ের দশকের শেষ প্রান্তে। বর্তমানে বড়পুকুরিয়ার কয়লা খনির উত্তোলিত কয়লা দিয়ে স্টিম টারবাইনে আড়াইশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। মধ্যপাড়ার কঠিন শিলা বিক্রি শুরু হয়েছে। এর বাইরে উত্তরাঞ্চলে আর কোন খনিজ উত্তোলন নেই। 

ভূতাত্ত্বিকগণের মতে, উত্তরাঞ্চলে তেল গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ এই অঞ্চলের মাটি অনেক পুরানো। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বদ্বীপ বঙ্গ অববাহিকার বিশাল এক অংশ জুড়ে বাংলাদেশ। এই দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমে সিকিম কাঞ্চনজঙ্ঘার উপত্যকা খসিয়া জয়ন্তিকা থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। গিরিপথ ছুঁয়ে সরল রেখায় সমুদ্র অরণ্যময় মালভূমি ও সমতল ভূমি নদীবাহিত পলি দ্বারা গঠিত। এই বঙ্গীয় বদ্বীপে তেল গ্যাস না পাওয়াটাই ভূবিজ্ঞানীদের বিস্ময়। দীর্ঘদিন ধরে ভূতাত্ত্বিকরা এই দেশে তেল পাওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ করেন। হরিপুরে তেল প্রাপ্তি ও বগুড়ার মাটির নিচে জরিপে তেলের আধার ও পঞ্চগড়ের শালবাহানে তেল খুঁজে পাওয়া তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। 

১৯১০ সাল থেকে এই দেশে তেল অনুসন্ধান শুরু হয়। প্রথম শুরু করে একটি বিদেশী কোম্পানি। পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে বগুড়ায় যমুনার পশ্চিম তীরে এবং কুচমা ও কলাকোপায় ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ভ্যাকুয়াম ওয়েল কোম্পানি কূপ খনন করে। তারপর তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৯৮৭ সালে ভূকম্পন জরিপ শুরু করার পরও তা বন্ধ হয়। অথচ ভূবিজ্ঞানীরা বারবার বলছেন দেশ বিপুল পরিমাণ খনিজ পদার্থ ও তেলের ওপর ভাসছে। এই বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব ভালভাবেই অনুধাবন করতে পেরেছে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথ্য সার্ভিসের ওয়াশিংটন ফাইলের স্টাফ রাইটার জুডিথ ট্রানজো এক নিবন্ধে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের রিজার্ভের পরিমাণ অন্তত ১১ টিট্রিয়ন ঘনফুট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেখানে বাংলাদেশের তেল গ্যাসের হিসাব কষছে সেখানে দেশের ভূবিজ্ঞানীরা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তেল গ্যাস উত্তোলনে এগিয়ে আসছে না। মাঝে মধ্যে সরকারী সংস্থা বাপেক্স গ্যাস তেলের পুরাতন জায়গাগুলোতে রুটিন জরিপ করে ফিরে যায়। এক সূত্র জানায় বগুড়া ও পাবনার মধ্যে প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় প্রাথমিক জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে ভূস্তরে যেভাবে গ্যাস ও তেল থাকার কথা সেই অবস্থাই বিদ্যমান। ভূগর্ভে হাইড্রোকার্বনের উপাদান ও তা মজুদ হওয়ার কয়েকটি নিয়ম আছে। ভূস্তরে রয়েছে অসংখ্য ভাঁজ। সেখানে উৎস শিলার মধ্যে জৈব উপাদান তাপ ও চাপে বিবর্তনে তেল ও গ্যাসে রূপ নেয়।

বাংলাদেশে ৩৭ বছর পর আবারও ভূগর্ভে তেলের সন্ধান মিলেছে। ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর সিলেটে একটি গ্যাসক্ষেত্রে কূপ খননের সময় সেখান তেল পাওয়া যায়। তার দুইদিন পর এক সংবাদ সম্মেলন করে খবরটি জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এছাড়া চারটি স্তরে গ্যাস পাওয়া গিয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন প্রতিমন্ত্রী। তবে এটাও একদিন তেল উত্তোলন করার পরেই বন্ধ রাখা হয়েছে। 

দেশে প্রাকৃতিকভাবে মজুদ খনিজ সম্পদের বাজারমূল্য নিরূপণ করেছে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। তাদের হিসাব অনুযায়ী দেশে মোট প্রাকৃতিক মজুদ খনিজ সম্পদের মূল্য ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি (২ দশমিক ২৬ ট্রিলিয়ন) ডলারের বেশি। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৪১ দশমিক ৯৭ ট্রিলিয়ন (২ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ কোটি) টাকা। তবে জিএসবির এ হিসাবে দেশে মজুদ প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যকে ধরা হয়নি। জিএসবির হিসাবের সঙ্গে প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যকে বিবেচনায় নেয়া হলে দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের নিরূপিত মূল্য আরো কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জিএসবি দেশে আবিষ্কৃত আট ধরনের খনিজ সম্পদের আর্থিক বাজারমূল্য নিরূপণ করেছে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৪০ কোটি ডলার। এর মধ্যে কয়লা রয়েছে ৭২৫ কোটি টনের বেশি। বাজারমূল্য টন প্রতি ১৭৫ ডলার হিসাব করলে এ পরিমাণ কয়লার দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৯০ কোটি ডলারে। এছাড়া পিট কয়লার সম্ভাব্য মজুদ রয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টন। প্রতি টন ৬০ ডলার হিসেবে এর মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩ হাজার ৫৯০ কোটি ডলারে (৩৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন)।

এছাড়া চুনাপাথর রয়েছে ২ হাজার ৫২৭ কোটি টন। টন-প্রতি ৩০ ডলার হিসেবে এ অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৫ হাজার ৮১০ কোটি ডলার। কঠিন শিলা আছে ২০ কোটি ১০ লাখ টন, যার আর্থিক মূল্যমান ৫৪২ কোটি ডলার। ২৩ কোটি টন সাদামাটির মূল্য ২ হাজার ৯৯০ কোটি ডলার। কাচবালি আছে ৫১১ কোটি ৭০ লাখ টন, যার মূল্য ৬ হাজার ১৪০ কোটি ডলার। ২২০ কোটি টন নুড়ি পাথরের মূল্যমান ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। এবং সাড়ে ৬২ কোটি টন লৌহের মূল্য ৬ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার।

জিএসবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খনিজ সম্পদ মজুদ সম্পর্কে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে ১০৫ কোটি ৩০ লাখ টন, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় ১০ কোটি ২০ লাখ, রংপুরের খালাসপীরে ১৪ কোটি ৩০ লাখ এবং দিনাজপুরের দীঘিপাড়ায় ৪০ কোটি ২০ লাখ টন কয়লার মজুদ রয়েছে। এছাড়া পিট কয়লা মজুদ রয়েছে মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে ২৮ কোটি ২০ লাখ টন, গোপালগঞ্জের বাঘিয়া-চান্দা বিলে ১৫ কোটি, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সাড়ে ৭ কোটি, শাল্লায় ৫ কোটি ২০ লাখ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ৩ কোটি ২০ লাখ ও খুলনার কলামৌজায় ৮০ খাল টন।

চুনাপাথর মজুদের বিষয়ে জিএসবি বলছে, দেশে সবচেয়ে বেশি চুনাপাথর মজুদ রয়েছে উত্তরের জেলা নওগাঁয়। জেলায় তাজপুর, বদলগাছি, ভগবানপুরে আড়াই হাজার কোটি টনের বেশি চুনাপাথর মজুদ রয়েছে। এছাড়া জয়পুরহাট জেলার জয়পুরহাট সদরে ১০, পাঁচবিবি উপজেলায় ৫ কোটি ৯০ লাখ এবং সুনামগঞ্জের বাঘালীবাজারে ১ কোটি ৭০ লাখ, টেকেরঘাটে ১ কোটি ২৯ লাখ ও লালঘাটে ১ কোটি ২৯ লাখ টন চুনাপাথরের মজুদ রয়েছে।

খনিজ সম্পদ হিসেবে মূল্যবান সাদামাটি রয়েছে টাঙ্গাইলের মধুপুরে সাড়ে ১২ কোটি টন, হবিগঞ্জের মাধবপুরে ৬ কোটি ৮০ লাখ টন, নেত্রকোনার বিজয়পুরে আড়াই কোটি টন। এছাড়া দেশের আরো কয়েকটি জেলায় সাদামাটির মজুদ চিহ্নিত হলেও এর পরিমাণ নিয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি জিএসবি।

দেশের ছয় জেলায় বিপুল পরিমাণ নুড়ি পাথর মজুদের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। এসব জেলায় নুড়ি পাথরের মোট মজুদের পরিমাণ ২২০ কোটি টন। দিনাজপুরের হাকিমপুরে আকরিক লৌহ মজুদ রয়েছে ৬৫ কোটি টন। এছাড়া কাচবালির মজুদ রয়েছে ৩ হাজার ২০০ কোটি টনের বেশি।

সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে দেশের প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদের আনুমানিক একটি মূল্য রয়েছে। এগুলো উত্তোলন করতে পারলেও বাংলাদেশও একদিন আরব আমিরাতের মত সম্পদশালী দেশ হতে পারে। বিদেশি রিজার্ভ ভারী হতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে। এমন অসংখ্য সম্ভাবনা থাকলেও দেশে অদৃশ্য কারণে খনিজ সম্পদ উত্তোলনে ধীর গতি, অনিচ্ছা আর অবহেলার ছাপ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম ভোরের কাগজকে বলেন, দেশের খনিজ সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায় না। খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্য সরকারের পর্যাপ্ত বাজেটও নেই। ফলে সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরাও ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যমান সম্পদকে হাতছাড়া করে দিচ্ছি। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App