×

অর্থনীতি

ডিসিসিআই

বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা দেশের রয়েছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম

বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা দেশের রয়েছে

ছবি: ভোরের কাগজ

বর্তমানে মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, খেলাপি ঋণ, পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীলতা, ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট, টাকার অবমূল্যায়ন ইত্যাদি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে অর্থনীতি। তবে বাংলাদেশের এ ধরনের সমস্যাগুলো বেশ সফলতার সঙ্গেই মোকাবেলার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আশা করছি আগের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা বেশ সফলতার সঙ্গেই মোকাবেলা করে অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবো। বারবার বাংলাদেশ এসব সমস্যার সমাধান করেছে, এটা প্রমাণিত সত্য।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) ডিসিসিআই আয়োজিত দেশের সমসাময়িক অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি এবং ২০২৪ সালে ডিসিসিআইর বর্ষব্যাপী কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী সহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ সমসাময়িক অর্থনীতি বিষয়ক ১২টি বিষয়বস্তুর উপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৪ সালে ডিসিসিআই’র কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, এ বছর ঢাকা চেম্বার সিএমএসএমই, আমদানি বিকল্প শিল্পখাত, আর্থিক খাত, পুঁজিবাজার, ট্যাক্সেশন, বেসরকারি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক কূটনীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ, কর্মসংস্থান ও  মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, এলডিসি উত্তরণ এবং স্মার্ট অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয়গুলোর উপর অনেক বেশি গুরুত্বারোপ করবে এবং বিষয়গুলোর উপর ডিসিসিআই সভাপতি বিস্তারিত সুপারিশশালা উপস্থাপন করেন।

আশরাফ আহমেদ বলেন, আগামী এক দশকে আমরা বিশ্বের ২০টি বড় অর্থনৈতিক দেশে পৌঁছাতে যাচ্ছি। এখন আমাদের গ্রোথ ১০ এ নেমেছে, কিন্তু চীনসহ অনেক দেশের গ্রোথ পাঁচ শতাংশের নিচে। আমাদের গ্রোথের সব ফান্ডামেন্টাল ভালো আছে, কিছু ক্ষুণ্ণ হয়নি। প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত। তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে। তবে সেটা বড় বিষয় নয়। আমাদের অর্থনৈতিক গ্রোথ চেঞ্জ করার মতো কোনো ফান্ডামেন্টালের পরিবর্তন হয়নি। সব ঠিক আছে।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ সমস্যা আমাদের আগেও হয়েছে। সেটা আমরা ওভারকাম করেছি। আর বিবিএস (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) যে মূল্যস্ফীতির তথ্য দিচ্ছে সেটা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিবেচনায়। পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয়। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি সবাইকে পীড়া দেয় সত্য। তবে এটা সারাবিশ্বে প্রভাব ফেলেছে। আমাদের মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু বাকি দুনিয়ার তুলনায় সেটা অনেক ভালো অবস্থা।

রিজার্ভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের আড়াই মাসের মজুত রিজার্ভ প্রয়োজন। সেখানে সাড়ে তিন মাসের রিজার্ভ মজুত রয়েছে। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে দারিদ্র্য কমে গেছে। কৃষিনির্ভর দেশ থেকে আমরা শিল্প ও সেবাখাত নির্ভর হয়েছি। এখন তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি রপ্তানি বহুমুখীকরণ করতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে উদ্যোক্তাদের লোন পাওয়াটা সহজ করতে হবে। এছাড়া এসব খাতে দক্ষ মানুষের অভাব। শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন এনে তা পূরণ করতে হবে।

আশরাফ আহমেদ বলেন, প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সেজন্য কঠিনভাবে কাজ করতে হবে। অনেক আইনের পরিবর্তন ও সংযোজন প্রয়োজন। অন্যদিকে বৈশ্বিক বাজার থেকে আমাদের যে পরিমাণ ব্যবসা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে, আমরা তার সামান্যও নিতে পারছি না। সেটা কীভাবে বাড়ানো যায়, সে সহায়ক নীতি প্রয়োজন। আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। এজন্য আমাদের আরো বেশি মানুষকে করের আওতায় আনতে হবে। পুঁজিবাজারে বন্ডের সেকেন্ডারি ট্রেড বাড়াতে হবে। এছাড়া জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনে গ্যাস আমদানি করতে হবে। রপ্তানির ক্ষেত্রে শুধু ইউরোপ-আমেরিকার বাজারের ওপর নির্ভরশীল না থেকে চীন ভারত ও আফ্রিকার মতো জনবহুল দেশে যেতে হবে। কারণ এসব দেশে কনজিউমার বেশি। সেজন্য প্রয়োজনীয় ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসি করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App