×

অর্থনীতি

পোল্ট্রি ফিড, ডিম ও মুরগি সরাসরি বিক্রয় শুরু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৪ পিএম

পোল্ট্রি ফিড, ডিম ও মুরগি সরাসরি বিক্রয় শুরু

মঙ্গলবার সরকার ঘোষিত ন্যায্য মূল্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পোল্ট্রি ফিড, ডিম ও মুরগি সরাসরি খামারি ও পাইকারি আড়তের মাধ্যমে বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধনে কর্মকর্তারা। ছবি: ভোরের কাগজ

সরকার ঘোষিত ন্যায্য মূল্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পোল্ট্রি ফিড, ডিম ও মুরগি সরাসরি খামারি ও পাইকারি আড়তের মাধ্যমে বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

 মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১১.৩০ মিনিটে যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া গবিন্দপুর বাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন(বিপিএ) এর উদ্যোগে সরকার ঘোষিত ন্যায্য মূল্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পোল্ট্রি ফিড, ডিম ও মুরগি সরাসরি খামারি ও পাইকারি আড়ৎ এর মাধ্যমে বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।

এ সময়  সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল এবং সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব সুমন হাওলাদার। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন এর সদস্যরা, শনির আখড়া বাজার কমিটির সভাপতিসহ অন্য ব্যবসায়ীরা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।   

উদ্বোধনী বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিপিএ এর কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সব সময় এই রকম কার্যক্রমকে সহযোগিতা করবে। তিনি আরো বলেন, পোল্ট্রি, ডিমের দাম অনেক ক্ষেত্রে হঠাৎ করে বেড়ে যায়। আমাদের ত্রুটিপূর্ণ বিপণন ব্যবস্থার কারণে একই পণ্য বিভিন্ন হাত বদলের মাধ্যমে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। বিভিন্ন ফড়িয়া বা মধ্যসত্ত্বভোগীরা সাপ্লাই চেইনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। এই কার্যক্রমের ফলে প্রান্তিক খামারিরা সরাসরি এখানে তাদের খামারে উৎপাদিত ডিম ও মুরগি বিক্রি করার সুযোগ পাবে এবং মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম থাকবে না। তিনি বলেন, এর ফলে ভোক্তাগণ ন্যায্য মূল্যে এখান থেকে সরাসরি মুরগি ও ডিম ক্রয় করতে পারবে।

এই সময় তিনি পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে শনির আখড়াসহ ঢাকা মহানগরীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বাজারেও এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি খিলগাঁয়ের মাংস ব্যবসায়ী মো. খলিলুর রহমানের উদাহরণ দিয়ে বলেন, এক খলিল সাহেবের সাহসী উদ্যোগের ফলে গরুর মাংস ভোক্তাগণে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এসেছে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের এই উদ্যোগের ফলে ডিম এবং মুরগির বাজারেও স্বস্তি ফিরে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন এর সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ডিম ও মুরগির বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙতে এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বড় বড় কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা পোল্ট্রি ফিড উৎপাদন করে এবং খামারিদের নিকট উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে। ফলে প্রান্তিক খামারীরা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়ে। তিনি প্রান্তিক খামারিদেরকে নিজস্বভাবে তৈরি পোল্ট্রি ফিড অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে সরবরাহের কথা জানান। এ সময় তিনি এই আড়ৎ থেকে খামারিদের উৎপাদিত ডিম খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ১০ টাকা  এবং ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ কেজি মূল্যে বিক্রি করবেন বলে ঘোষণা দেন। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগরীর বড় ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ বাজারেও এ কার্যক্রম সম্প্রসারিত করবেন বলে তিনি জানান। এ সময় তিনি সরকারের  সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App