×

অর্থনীতি

প্রাণিসম্পদে বরাদ্দ সুফল আনবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২০, ১০:২৮ এএম

প্রাণিসম্পদে বরাদ্দ সুফল আনবে
আনোয়ারুল হক আনু সভাপতি জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ
প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কৃষির উপখাত প্রাণিসম্পদে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করেন জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আনোয়ারুল হক আনু। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আশা করি, এই বরাদ্দের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদে সমৃদ্ধি আসবে। প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে ভোরের কাগজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। আনোয়ারুল হক আনু বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের সবচেয়ে উদীয়মান খাত হচ্ছে কৃষির উপখাত প্রাণিসম্পদ খাত। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, পুষ্টি নিরাপত্তা এবং দরিদ্রতা নিরসনে প্রাণিসম্পদের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ একটি সম্ভাবনাময় ও লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই সঙ্গে উপযুক্ত প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণ প্রাণিসম্পদ খাতকে আজ কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনের একটি অন্যতম প্রধান হাতিয়ারে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, দেশের বেকার জনগোষ্ঠী এবং নারীরা প্রাণিসম্পদ পালনে সম্পৃক্ত হয়ে আত্মকর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছে। দেশের বহু পরিবার আজ উন্নত জাতের গাভী অথবা স্বল্প পরিসরে হাঁস/মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এছাড়া প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় বাড়ানো ও নারীর ক্ষমতায়নে প্রাণিসম্পদ খাত বিশেষ ভ‚মিকা রেখে চলেছে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে বেশি বরাদ্দ রাখায় বিশ্ব মহামারি করোনার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে। জয়পুরহাটে পোল্ট্রি, ডেইরি, হ্যাচারি, পোল্ট্রি ও ডেইরি ফিডসহ এ খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য শিল্প খুব দ্রুত উন্নয়ন সাধন করেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। এতে করে জয়পুরহাট তথা উত্তরবঙ্গের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বেকার সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভ‚মিকা রাখবে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাজেটে বরাদ্দ সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে সারা পৃথিবী বিপর্যস্ত। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য স্বাস্থ্য খাতসহ সংশ্লিষ্ট খাতসমূহে আরো বরাদ্দ থাকলে ভালো হতো। তিনি জানান, করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মানুষের জীবন রক্ষা করা। মানুষ থাকলে দেশের অর্থনীতি একদিন ঠিকই সচল হবে। করোনা প্রতিরোধের জন্য বাজেটে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা এই মহামারি প্রতিরোধে হয়তো পর্যাপ্ত হবে না। করোনা প্রতিরোধে বাজেটে আরো বরাদ্দ বাড়ানোসহ আরো বেশি ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে বেশি বেশি নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার তাগিদ দেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App