×

অর্থনীতি

গৃহসজ্জার আকর্ষণীয় আসবাবপত্র পারটেক্স ফার্নিচারের প্যাভিলিয়নে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০২:২৩ পিএম

গৃহসজ্জার আকর্ষণীয় আসবাবপত্র পারটেক্স ফার্নিচারের প্যাভিলিয়নে
ঘর সাজানোর আকর্ষণীয় সব আসবাবপত্র নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় প্যাভিলিয়ন সাজিয়েছে দেশের অন্যতম করপোরেট প্রতিষ্ঠান পারটেক্স ফার্নিচার। এসব আসবাবপত্রের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন আইটেমের খাট, সোফা, ড্রেসিং টেবিল, ডিভান, ওয়ারড্রোব, আলমারি, টি-টেবিলসহ আরো হরেক রকম আসবাবপত্র। এসব আসবাপত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ, লেমিনেটেড বোর্ড ও শিট মেটাল। প্যাভিলিয়নে রয়েছে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ মূল্যছাড়। এ ছাড়া ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে প্রতিদিন র‌্যাফেল ড্রর ব্যবস্থা। গতকাল বাণিজ্যমেলায় পারটেক্সের প্যাভিলিয়নে গিয়ে দেখা যায়, সুসজ্জিত তিন তলা প্যাভিলিয়নের পুরোটায় শোভা পাচ্ছে আকর্ষণীয় সব ফার্নিচার। প্রতিটি ফার্নিচারের গায়ে মূল্য তালিকা দেয়া আছে। প্যাভিলিয়নের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে এসব ফার্নিচার দেখছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। পছন্দ হলে সঙ্গে সঙ্গে তা ক্রয় করছেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরির আকর্ষণীয় খাট রয়েছে ৬০-৬৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা মূল্যের। এ ছাড়া সোফা রয়েছে ৪৫ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা মূল্যের, ডাইনিং টেবিল রয়েছে ৪০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা মূল্যের। স্টলে কথা হয় রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক নাজমা আক্তারের সঙ্গে। তিনি জানান, পারটেক্সের ফার্নিচারের সব থেকে আকর্ষণীয় দিক হলো এর ডিজাইন। আমি পারটেক্স ফার্নিচারের ডিজাইনের ভক্ত। এ ছাড়া দামও নাগালের মধ্যে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পারটেক্সের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার, ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন রাজীব প্রতীম সাধু ভোরের কাগজকে বলেন, ইতোমধ্যে বাণিজ্যমেলায় আমরা প্রচুর সাড়া পেয়েছি। আমরা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের দেখাচ্ছি যে, আমাদের ফার্নিচার মানসম্মত। আমরা রুচির দিকে লক্ষ্য রেখে ফার্নিচার তৈরি করি। ক্রেতারা কেমন ধরনের ফার্নিচার পছন্দ করে, তার ওপর ভিত্তি করে ডিজাইন করি। এসব ফার্নিচারের দামও রাখা হয় নাগালের মধ্যে। ফার্নিচার তৈরিতে মূলত মেহগনি কাঠ, লেমিনেটিং বোর্ড ও মেটাল শিট বেশি ব্যবহার করা হয়। তিনি আরো বলেন, আমরা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য র‌্যাফেল ড্রর ব্যবস্থা করেছি। প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হচ্ছে র‌্যাফেল ড্র। পুরস্কার হিসেবে রয়েছে পারটেক্স ফার্নিচারের তৈরি গিফট। এদিকে গতকাল ভিআইপি গেট দিয়ে ঢোকার সময় দেখা গেছে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা প্রায় পরিপূর্ণ। মেলার ১৪তম দিনে গতকালও ছিল ক্রেতা দর্শনার্থীদের উল্লেযোগ্য ভিড়। প্রতি বছরের মতো এবারো মেলার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকসমাগম বাড়ছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মেলায় এসেছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। তারা ঘুরে ঘুরে কিনছেন নিজেদের পছন্দের সব পণ্য। যথারীতি ভিড় দেখা গেছে নারী ও শিশু পণ্যের স্টলগুলোতে। বিভিন্ন ছাড়ের সুযোগ নিয়ে স্টল থেকে পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। এ বছর মেলায় মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্কসহ পর্যাপ্ত এটিএম বুথ রয়েছে। মেলায় তৈরি করা হয়েছে পোশাক, হোমটেক্স, ফেব্রিকস, হস্তশিল্প, পাট-পাটজাত পণ্য, চামড়া-চামড়াজাত পণ্য, তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টিক পণ্য, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস, হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী। আরো রয়েছে খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী ও ফার্নিচারের স্টল। এবারের মেলা ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মেলার প্রধান ফটকে আনা হয়েছে পরিবর্তন। দর্শনার্থীদের জন্য মেলার ভেতরে রাখা হয়েছে খোলামেলা স্থান। যাতে পরিবার ও পরিজনদের নিয়ে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাঘুরি করতে পারে। মেলার দুই প্রান্তে সুন্দরবনের আদলে তৈরি করা হয়েছে ইকোপার্ক। এ ছাড়াও রয়েছে ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। যার মাধ্যমে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা নির্দিষ্ট স্টল ও প্যাভিলিয়ন সহজে খুঁজে বের করতে পারবেন। মেলায় সাপ্তাহিক কোনো ছুটি নেই। উল্লেখ্য, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে গত ৯ জানুয়ারি শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০১৯। ছোট-বড় মিলিয়ে মেলায় মোট স্টল রয়েছে ৬০৫টি। মেলা শেষ হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App