×

অর্থনীতি

‘মানবসম্পদ গড়তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাতের যোগসূত্রের বিকল্প নেই’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৪০ পিএম

‘মানবসম্পদ গড়তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাতের যোগসূত্রের বিকল্প নেই’

ছবি: ভোরের কাগজ

বৈশ্বিক চাহিদার সাথে মিল রেখে দেশে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের উপর অধিক গুরুত্বারোপ করেছেন বিশ্লেষকরা। তারা জানান, শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী মানবসম্পদ উন্নয়ন না করা গেলে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল থেকে বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ। কঠিন হবে এসডিজিসহ ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর হাটখোলায় এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে (এফআইআরসি) আয়োজিত ‘পাবলিক-প্রাইভেট অ্যাকাডেমিয়া ব্রিজিং ফর স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এই কথা বলেন। যৌথভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (এফআইআরসি)। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বায়ক মো. আখতার হোসেন। দেশে দক্ষ জনশক্তির ঘাটতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, গ্রাজুয়েটরা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করছে ঠিকই, কিন্তু তারা ইংরেজিতে ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না। জ্ঞান এবং দক্ষতায় ঘাটতি থাকার কারণে তারা উদ্যোক্তা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন না, আবার সম্মানজনক মজুরিতে চাকরিও পান না। এসময়, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সরকার, বেসরকারি খাত এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদারের আহ্বান জানান তিনি। সভার কো-চেয়ারম্যান হিসেবে এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফআইআরসি‘র চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, বর্তমানে সরকার দক্ষতা উন্নয়নের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে, কিন্তু কোন খাতে কি ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন সেটি আমাদের জানা নেই। আমাদের প্রচুর বিবিএ/এমবিএ গ্র্যাজুয়েট রয়েছে কিন্তু বিশেষায়িত শিক্ষায় দক্ষ কর্মী নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে যোগসূত্র না থাকাই এর মূল কারণ। মো. জসিম উদ্দিন আরও বলেন, আমাদের শুধু শ্রমিক তৈরি করলে চলবে না। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ -এর উন্নত দেশ গড়তে হলে দক্ষ ব্যবস্থাপক তৈরি করতে হবে। কারণ আগামীতে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে হলে আমাদের নেগসিয়েশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষার্থী ও উদ্যোক্তারা যাতে উদ্ভাবন, উন্নয়ন এবং গবেষণার কাজ করার সুযোগ পায়- এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার সেই ক্ষেত্র তৈরি করে দিবে বলে জানান তিনি। এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, নিঃসন্দেহে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, তবে সেখানে সমন্বয়ের ঘাটতি ছিল। এখন সময় এসেছে সমন্বিতভাবে অগ্রসর হওয়ার। এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’কে বলবো- এফবিসিসিআই সদস্যভুক্ত যত সমিতি রয়েছে সবার সাথে যোগাযোগ করে তাদের সমস্যা, সম্ভাবনা এবং সক্ষমতার তথ্য সংগ্রহ করুন। সেগুলো পর্যালোচনার ভিত্তিতে খাত ভিত্তিক গবেষণা ও উদ্ভাবনে জোর দেন তিনি। এ সময় বিশেষায়িত শিক্ষার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে এফআইআরসি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ের ওপর দক্ষতা অর্জন করবে সেটি পঞ্চম শ্রেণি, নবম শ্রেণি এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নির্ধারণের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। এতে, শিক্ষার্থীরা যেমন শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী বিশেষায়িত শিক্ষায় দক্ষ হয়ে উঠবে, তেমনি শিল্পও তার কাঙ্ক্ষিত দক্ষ জনশক্তি পাবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালকবৃন্দ, পরামর্শকগণ, এফবিসিসিআই’র সাবেক ও বর্তমান পরিচালকবৃন্দ, সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, প্রযুক্তিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App