×

অর্থনীতি

রাইডশেয়ারিং বদলে দিয়েছে মরিয়মের ভাগ্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২৪ পিএম

রাইডশেয়ারিং বদলে দিয়েছে মরিয়মের ভাগ্য
কোভিড মহামারির কারণে আর্থিক দুর্দশায় পড়েছিলেন অনেক মানুষ। কেউ চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়েছিলেন, আবার কারো ব্যবসা পড়েছিল ক্ষতির মুখে। আর এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে তাদের অনেকেই বেছে নিয়েছেন নতুন, ব্যতিক্রমধর্মী কোনো পেশা। এমন একটি পেশা হলো রাইডশেয়ারিং। উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো চালকদের নানা রকম সুবিধা দিয়ে থাকে। তাই এসব সার্ভিসে কাজ করতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আবার আজকালকার তরুণরা ধরাবাঁধা চাকরিতে সীমাবদ্ধ থাকতে চান না। এসব প্ল্যাটফর্মে নিজের পছন্দমতো সময়ে কাজ করার সুযোগ থাকে, এই সুযোগও রাইডশেয়ারিংয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ার একটি কারণ। এছাড়াও কোভিড চলাকালীন বা এর পরবর্তী সময়ে চাকরি হারালেও এসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। সহজ ব্যবহারযোগ্যতা ও দৈনন্দিন উপার্জনের সুবিধার কারণেও এমন প্ল্যাটফর্মের দিকে ঝুঁকছেন কেউ কেউ। মরিয়ম আক্তার হলেন এমনই একজন স্বাধীনতাপ্রিয় ও আত্মনির্ভরশীল চালক। তার প্রক্রিয়াজাত চা পাতা বিক্রি করার ব্যবসা ভালোই চলছিল। একইসঙ্গে তিনি আরএফএল গ্রুপের পরিবেশক হিসেবেও কাজ শুরু করেন। কিন্তু কোভিডের সময় তার ব্যবসায় প্রচুর ক্ষতি হয়। তখন মরিয়ম বুঝতে পারেন যে, তার দৈনন্দিন আয়ের একটি উৎস প্রয়োজন। তিনি আগে থেকেই গাড়ি চালানো জানতেন, তাই উবার প্ল্যাটফর্মে গাড়ি চালানো শুরু করেন। বর্তমানে তিনি প্রতি মাসে বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। এই প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তার কারণে তিনি প্ল্যাটফর্মটিতে গাড়ি চালাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। মরিয়মের মতে, উবারে চালক ও যাত্রী উভয়ের জন্য চমৎকার সুবিধা রয়েছে। এ কারণে গভীর রাতেও গাড়ি চালাতে তার কোনো সমস্যা হয় না। মরিয়মের মতো আরও অনেকেই রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে নিজের জীবন বদলে দিয়েছেন। কেউ আবার সমাজের চোখে অনুকরণীয় দৃষ্টান্তেও পরিণত হয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App