গণজাগরণের মুকাভিনয় উৎসব
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৩৪ পিএম
ছবি: ভোরের কাগজ
ছবি: সংগৃহীত
নাটকপাড়ায় চলছে উৎসবের আমেজ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে নানা ধরনের পরিবেশনার উৎসব। এরমধ্যে টানা ৩টি উৎসবের আয়োজন করেছে শিল্পকলা। পুতুলনাট্য উৎসব, পালাগানের উৎসব ও মঞ্চনাটক।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হলো তিনদিনব্যাপী ‘গণজাগরণের মূকাভিনয় উৎসব’।
একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উৎসবটির উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমেদ। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে আয়োজিত উৎসবে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ।
ছবি: ভোরের কাগজ
এতে অংশ নিচ্ছে সারা দেশের প্রায় অর্ধশত মূকাভিনয়ের দল, কয়েকশ মাইম শিল্পী। উদ্বোধনী দিনে ছিল ‘মাইম আর্ট’ দলের পরিবেশনা। যার মধ্যে ছিল নিথর মাহবুবের একক মাইম ‘নারী নির্যাতনের সাজা’ এবং দলের আরেক সদস্য টুটুলের পরিবেশনা ‘আমার স্বপ্ন’। এ ছাড়াও ছিল দলীয় পরিবেশনা ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’ সিরিজের কয়েকটি পর্ব।
এ আয়োজন প্রসঙ্গে মুকাভিনেতা নিথর মাহবুব বলেন, এ উৎসব আমাকে কতটা আন্দোলিত করছে তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না, আমি আপ্লুত, আমার একটা স্বপ্ন পূরণ হলো। আমি যখন মূকাভিনয় নিয়ে চর্চা শুরু করেছিলাম, শিল্পটির অবস্থা ছিল অনেকটা মরুভূমির মতো, অর্থাৎ দেশের কোথাও কোনো মুকাভিনয় চর্চা ছিল না। ছিল না শেখার জায়গা, এ উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে সেই মরুভূমিতে এখন প্রাণ ফিরে এসেছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খলিল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে মুকাভিনয় বরাবরই গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত। তৃণমূল মানুষের অন্তরে বাস্তবিক উন্নয়নের এক দর্পণ স্বরূপ কাজ করে মুকাভিনয়।
লিয়াকত আলী লাকী বলেন, শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাব আমরা উন্নতির শিখরে’ এই প্রতিপাদ্যে গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী শিল্পযজ্ঞ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে এ আয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কৃতির এক সমৃদ্ধ রূপায়ণ মুকাভিনয়। ঐতিহ্য, চিন্তা, মূল্যবোধকে ধারণ করেই মুকাভিনয়ের বিস্তার।
প্রতিদিন মুকাভিনেতারা সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মঞ্চে আলো ছড়াবেন মুকাভিনয় শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত।