×

অর্থনীতি

এক অঙ্কে নেমেছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৫ পিএম

এক অঙ্কে নেমেছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি

এক অঙ্কে নেমেছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি। প্রতীকী ছবি

নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসেই বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিতে বিপর্যয়। এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে। গত জুলাই মাসে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরিতে অর্জন হয়েছে ৯.৮২ শতাংশ। কিন্তু জুন মাসে এই খাতের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মূলত বিনিয়োগ চাহিদা, ঋণযোগ্য তহবিল কমাসহ বিভিন্ন কারণে এমন হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৮৫ ৪৪৫ কোটি টাকা। কিন্তু এর আগের মাসেও ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছিল বেসরকারি খাত। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানেই ঋণ বিতরণ ৮ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা কমেছে।

তবে আগের বছরের জুলাই মাসে যে ঋণ বিতরণ হয় তার চেয়ে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি ঋণ পেয়েছে বেসরকারি খাত। কারণ ২০২২ সালের জুলাইয়ে ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৫৬৬ কোটি কোটি টাকর ঋণ নিয়েছিলেন বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ ঋণে প্রবৃদ্ধি থাকলেও কমে যাচ্ছে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ। গত জুলাই শেষে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ কমে ১ হাজার ৩৩৮ কোটি ডলারে নেমেছে। গত বছরের জুন শেষে যা ছিল ১ হাজার ৭৭৫ কোটি ডলার। এর মানে ১ বছরে কমেছে ৪৩৭ কোটি ডলার বা ২৪ দশমিক শূন্য ৬১ শতাংশ।

এর আগে প্রায় প্রতি বছর ঋণ একটু করে বাড়ছিল। বিশেষ করে করোনার মধ্যে ব্যাপক বেড়ে যায়। ২০২০ সাল শেষে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ ছিল ৯১৩ কোটি ডলার। এক বছরে ৬৩৩ কোটি ডলার বা ৬৯ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে ২০২১ সাল শেষে হয় ১ হাজার ৫৪৬ কোটি ডলার।

বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণের বাইরে গত মার্চ পর্যন্ত মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিদেশি ঋণ রয়েছে আরও ৮১০ কোটি ডলার। মূলত সুদ অনেক বেড়ে যাওয়া এবং নতুন ঋণ পাওয়া দুরূহ হওয়ায় বিদেশি ঋণ কমছে।­

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App