×

অর্থনীতি

রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের সুযোগ বাতিল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১৬ পিএম

রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের সুযোগ বাতিল

বাংলাদেশ ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

রপ্তানিকারকদের চাপে রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের যে সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, তা এক বছরের মাথায় বাতিল করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) নতুন সিদ্ধান্ত দিয়ে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্র্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, যে ব্যাংকের মাধ্যামে পণ্য রপ্তানি হবে ওই ব্যাংকের মাধ্যমে আসা রপ্তানি আয় দিয়ে ইডিএফ ও আমদানি দায় পরিশোধ শেষে অবশিষ্ট বৈদেশিক মুদ্রা টাকায় রূপান্তর করে নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বৈদেশিক মুদ্রা অন্য ব্যাংকে নেয়া যাবে না।

আমদানি ব্যয়ের তুলানায় রপ্তানি ও রেমিটেন্স বৃদ্ধি সেভাবে না হওয়ায় কভিড-১৯ পরবর্তী সময় থেকে শুরু হওয়া ডলার সংকট এখনো কাটেনি। অনেক ব্যাংকই ডলার সংকটে ভুগতে থাকায় বৈদেশিক মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল করতে রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে নিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের অগাস্ট মাসে। কিন্তু সার্কুলার জারির ২২ দিনের মাথায় একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানিকারকদের চাপে রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

ওই সময়ে রপ্তানিকারকদের যুক্তি ছিল, এক ব্যাংক থেকে রপ্তানি আয় হিসেবে আসা বৈদেশিক মুদ্রা টাকায় রূপান্তর করে অন্য ব্যাংকের আমদানি দায় পরিশোধ করতে পুনরায় বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করতে হয়। এতে মুদ্রা বিনিময়জনিত লোকসান হয়।

এর এক বছর পরে ফের আগের সিদ্ধান্তে ফিরে যাওয়ার ব্যাখ্যায় সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে শৃঙ্খলা বাজায় রাখতে সংশ্লিষ্ঠ ব্যাংকের মাধ্যমে শুধু রপ্তানিকারকের রপ্তানি আয় থেকে আমদানি দায় মেটানো যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, রপ্তানি হওয়া পণ্য মূল্যর মধ্যে মূল্য সংযোজিত(ভ্যালু এডেড) অংশের বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে রপ্তানিকৃত পণ্যর জন্য আমদানি করা কাচামালের দায় পরিশোধ করতে পারেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।

এছাড়াও ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্রের দায় মেটাতে পারেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। রপ্তানি আয় থেকে ইডিএফ(এক্সপোর্ট ডেভেলপমেনট ফান্ড) ও আমদানি দায় পরিশোধের পর অবশিষ্ট বৈদেশিক মুদ্রা ৩০ দিনের মধ্যে রপ্তানিকারকের ব্যাংক হিসাবে টাকায় রুপান্তর করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, এতে রপ্তানি আয় হিসেবে আসা বৈদেশিক মুদ্রা নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App