×

অর্থনীতি

রশিদ না রাখলে ডাবের ব্যবসা বন্ধ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০৬:২২ পিএম

রশিদ না রাখলে ডাবের ব্যবসা বন্ধ

ডাব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজিত এ সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ছবি: ভোরের কাগজ

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবকে পুঁজি করে অতিরিক্ত দাম বাড়ানো হয়েছে ডাবের। এতে একশ’ টাকার ডাব বিক্রি হচ্ছে দুইশ’ টাকায়। তবে ডাবের দাম একশ টাকার বেশি হওয়া অযৌক্তিক বলছে ভোক্তা অধিদপ্তর। এ পরিস্থিতিতে ডাবের দাম নিয়ন্ত্রণে ডাবের মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখতে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, ডাব ব্যবসায়ীদের ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ, পাকা ভাউচার ও ডাবের মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে। প্রতিটি পর্যায়ে বেচাকেনার রশিদ না রাখলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ডাব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজিত এ সভায় এ কথা জানানো হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হারুন অর রশিদ, ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল মো. হুমায়ুন কবির, ডাব বিক্রয়কারী বিভিন্ন আড়তদার ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

দেশব্যাপী ডেঙ্গুর ছড়াছড়ি। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডাব নিয়ে চলছে নৈরাজ্য। আকারভেদে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

সোমবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতে বড় আকারের ডাব ১১০ টাকা ও খুচরায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে ডাবের নিয়ে বৈঠকে ভোক্তা অধিদফতর জানায়, দাম বাড়ানোর কারসাজিতে জড়িত রয়েছেন রাজধানীর ব্যবসায়ীরা। তিন থেকে চার হাত বদলে দাম ডাবের বেড়ে যায়। তবে দাম নির্ধারণ নিয়ে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা একে অপরকে দোষারোপ করেন।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় ডাবের দাম বাড়াচ্ছে। ১২০ টাকার ডাব ১৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এ সময় ভোক্তা অধিকার জানায়, ডাবের বর্তমান দাম অযৌক্তিক। ডাব বেচাকেনায় রশিদ ব্যবহার না করলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হবে।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ডেঙ্গুকে পুঁজি করে ধাপে ধাপে বাজারকে অস্থির করা হচ্ছে। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী অভিযান চলবে। মঙ্গলবার (আজ) থেকে আমরা সারা দেশে এটি পরীক্ষা করবো। এগুলো করার পর বাজারে যদি প্রভাব না পড়ে, তাহলে পরবর্তীতে আমরা আরো কাজ করবো। ডাবের বাজার যতদিন স্থিতিশীল না হবে, ততদিন আমরা এখানে কাজ করবো।

ডিজি সফিকুজ্জামান বলেন, আমি কোনোদিন চিন্তা করিনি, ডাব নিয়ে আমাকে এভাবে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসতে হবে। ডাবও এখন আমাদের টক অব দ্য কান্ট্রি। আমি ভাবিনি ডাব নিয়ে আমাদের এভাবে কাজ করতে হবে।

সম্প্রতি ডাবের আড়তে ও বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়েছে জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা যেসব তথ্য পেলাম, তাতে ডাবের দাম খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা। আশা করি ডাবের বাজারের যে অস্থিরতা সেটি নিরসন হয়ে ৭০-৮০ শতাংশ দাম কমে যাবে।

সভায় পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ডাবের দাম বাড়ার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেন। ডাবের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তারা ডাবের উৎপাদন কম হওয়ার কথা জানান। পাশাপাশি তারা একে অন্যকেও অযৌক্তিকভাবে বেশি দামে ডাব বিক্রির জন্য দায়ী করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App