×

অর্থনীতি

টয়লেট্রিজের দামে লোভের আগুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৪৫ এএম

টয়লেট্রিজের দামে লোভের আগুন

ছবি: সংগৃহীত

নীরবে বাড়ছে টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম। বৈশ্বিক সংকটের অজুহাতে কোনো ঘোষণা ছাড়াই নিত্যব্যবহার্য পণ্য সাবান, টুথপেস্ট, পাউডার, ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পুসহ সব ধরনের টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বাজার অনুসন্ধানে জানা যায়, ৬ মাসের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম ১০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি প্যাকেটজাত চিপস, চানাচুর ও বিস্কিটের দামও বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত। ক্ষেত্র বিশেষে কোনো পণ্যের দাম না বাড়িয়ে প্যাকেটে পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উৎপাদন ও বাজারজাতকারী কোনো প্রতিষ্ঠানই দাম বাড়ানোর কোনো ঘোষণা দেয়নি। অথচ এসব অপকর্ম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে নজরদারি বাড়ানো ও সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এই মুনাফাচক্রকে থামানো যাবে না।

এদিকে, ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন’ এর অত্যাবশ্যকীয় পণ্যদ্রব্যের তালিকা স¤প্রসারণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকায় সুপেয় পানি, চাল, আটা, পোলট্রি, দুধ ও ডিম, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, টুথপেস্ট, আলু, গম, ধান, কালো জিরা, চিঁড়া, মুড়ি ও তরল কীটনাশকসহ বিভিন্ন পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অন্যদিকে সিগারেট, লবঙ্গ, তেজপাতা, এলাচ ও দারুচিনিকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হতে পারে।

রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন অজুহাতে প্রতিনিয়ত দাম বাড়ছে প্রসাধন ও টয়লেট্রিজ সামগ্রীর। অনেক কোম্পানি দাম অপরিবর্তিত রাখলেও ওজন কমিয়ে মোড়কের আকার ছোট করেছে। নিত্যব্যবহার্য এসব পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর কারণে সমস্যায় পড়েছেন নির্দিষ্ট আয়ের সাধারণ মানুষ।

উৎপাদকরা উৎপাদন ব্যয় বাড়ার অজুহাত দেখালেও বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা খোঁড়া যুক্তি। তাদের মতে, যে পরিমাণে দাম বাড়ছে তার পেছনে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবণতা কাজ করছে। খুচরা দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক প্রতিষ্ঠান মূল্য সমন্বয়ের জন্য তাদের পণ্যের মোড়ক ছোট করেছে। যদিও কিছু উৎপাদক বলছেন, পণ্যের উৎপাদন খরচ দিন দিন বাড়ছে, যার কারণে এসব কাজ করতে হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে একচেটিয়া দখল থাকার কারণে এভাবে লাগামহীন দাম বাড়াতে পারছে কিছু উৎপাদক। বিশেষ কয়েকটি পণ্যের ক্ষেত্রে বাজার একেবারেই তাদের দখলে। কোনো একটি কোম্পানি নিজের পণ্যের দাম বাড়ালে তাকে অনুসরণ করে অন্যরাও সমজাতীয় ওই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। যে প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে, তা হচ্ছে দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে। দাম বাড়লেও পণ্যের মান বাড়ানো হয়েছে মর্মে কোনো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। একই মানের পণ্য ছয় মাসের ব্যবধানে বিক্রি করা হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দামে। ঠিক কী কারণে দাম বাড়ানো হলো, তার কোনো জবাব নেই। এসব পণ্যের বাজারে সরকারের নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ।

বেড়েছে টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম : সাবান, টুথপেস্ট, কাপড় ধোয়ার ডিটারজেন্টসহ প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহার্য সব ধরনের টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম বেড়েছে। ৬ মাসের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম ১০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের তথ্য অনুযায়ী, ১০০ গ্রাম লাক্স সাবানের দাম ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫ টাকা। লাইফবয় ১০০ গ্রাম সাবানের দাম ৩২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। ৪২ টাকা দামের ৭৫ গ্রাম ডেটল সাবান কিনতে ক্রেতাকে এখন গুনতে হচ্ছে ৬০ টাকা। একই সাবান ১২৫ গ্রাম কিনতে ক্রেতাকে দিতে হচ্ছে ৮০ টাকা, আগে যা ছিল ৬২ টাকা। ছোট মেরিল, কেয়া, লাক্স ও ডেটল সাবানের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। এসিআই স্যাভলন ১০০ গ্রাম সাবানের দাম ৪৫ টাকা থাকলেও এখন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশ ১৭৫ গ্রাম রিফিল ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ টাকা। বোতলজাত লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশ ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০৫ টাকা হয়েছে। আর ডেটল হ্যান্ডওয়াশের দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫ টাকা হয়েছে।

বেড়েছে সব ধরনের ডিটারজেন্টের দাম। হুইল কাপড় কাচার সাবানের দাম ১৮ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। ১৩০ টাকার হুইল ডিটারজেন্টের দাম এখন ১৬৫ টাকা। আর ১৫০ টাকার হুইল রিন পাউডারের দাম বেড়ে ২১০ টাকা হয়েছে। ৩০০ গ্রামের সানসিল্ক শ্যাম্পুর দাম বেড়ে ৪০০ টাকা করা হয়েছে। অন্যদিকে ডাভ শ্যাম্পু ৩২০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫০ টাকা হয়েছে। আর ৩ টাকা দামের সব মিনিপ্যাক শ্যাম্পুর দাম বেড়ে ৪ টাকা করা হয়েছে। ৫০০ গ্রাম ভিমবার লিকুইড বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। হারপিক ৭৫০ এমএল কিনতে ক্রেতাকে ১৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে, আগে যা ছিল ১২০ টাকা। টুথপেস্টের মধ্যে পেপসোডেন্ট ২০০ গ্রামের একটি টুথপেস্ট কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হচ্ছে ১৬০ টাকা, আগে যা ছিল ১৩০ টাকা। ১০০ গ্রামের পেপসোডেন্ট ৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকায়। ৯০ টাকার ক্লোজআপ টুথপেস্টের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা, আর ১৩০ টাকার সেনসিটিভ টুথপেস্ট বেড়ে ১৭০ টাকা হয়েছে। স্কয়ারের ৭৫ টাকার বেবি ব্রাশ কিনতে এখন ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৯০ টাকা।

বাংলাদেশ কসমেটিকস এন্ড টয়লেট্রিজের ইম্পোর্টার্স এসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে চার হাজার কোটি টাকার প্রসাধনী পণ্য বিক্রি হয়। আর খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রসাধনী প্রায় সবই দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়, যার দামও অনেক বেশি। এ সুযোগে প্রসাধনী ব্যবসায়ীরা নকল প্রসাধনী তৈরি করেন। তবে নামিদামি কোম্পানির প্রসাধনী কিনলে ঝুঁকি কম থাকে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে নগদ টাকায় কিনতে হয় বলে কিছু সুপারশপ ভিন্ন মাধ্যম থেকে বাকিতে এসব পণ্য ক্রয় করে। এ সুযোগে সুপারশপেও নকল পণ্য ঢুকে যাচ্ছে। আবার মিটফোর্ডের কিছু কেমিক্যাল দোকান থেকেও ভেজাল প্রসাধনী তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করে তা দিয়ে ভেজাল কারখানায় নকল পণ্য তৈরি করানো হচ্ছে। বাজারে বতর্মানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে এ ধরনের ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রীর প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।

দাম বাড়ায় কে! : বিভিন্ন দেশীয় সুপারশপ কোম্পানির প্রতিনিধিরা দাবি করেন, তারা পণ্যের দাম বাড়ান না; বরং উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যে দাম নির্ধারণ করে দেয়, সে দামেই বিক্রি করেন। কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগসাজশে সুপারশপগুলো প্যাকেটজাত পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে- এটা ঠিক নয়। তাদের দাবি, পণ্যের দাম বাড়ায় উৎপাদনকারীরা। তবে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, দাম তারা নির্ধারণ করে না। এটি ঠিক করে সরকারের বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন। এর দায় সরকারের ওপর বর্তায়।

তারা জানায়, আমদানি পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহে খরচ বেশি। এ কারণেই পণ্যের দাম বাড়ছে। তবে সব পক্ষ সমন্বয় করে কাজ করলে ভোক্তাপর্যায়ে পণ্যের দাম কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার কার্যক্রম : বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রতিযোগিতা কমিশন কয়েকটি মামলা করে। সংস্থাটি বলছে, প্রতিযোগিতা কমিশন আইনের ১৫ এবং ১৬ ধারা লঙ্ঘন করে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। আর কমিশনের করা এ মামলার শুনানি এখনো চলমান।

মামলাগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রতিযোগিতা কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, মাঠপর্যায়ে যাচাই কার্যক্রম চলছে। রিপোর্টে কোনো গরমিল থাকলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছিল, সাবান, ডিটারজেন্ট, টুথপেস্টসহ সব ধরনের পণ্যের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এগুলোর উৎপাদন ব্যয় যাচাই ও খুচরা মূল্যের যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখবে তারা। তবে প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সব ধরনের পণ্যের দাম বেশি। আছে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা করার প্রবণতা। ক্রেতাকে জিম্মি করে তারা অতি মুনাফা লুটতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে।

সরকারের উদ্যোগ : সাম্প্রতিক সময়ে সাবান, ডিটারজেন্ট, টুথপেস্টসহ বিভিন্ন ধরনের তরল কীটনাশকের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। সরকারও দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত বাজারের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে চাইছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে ছয় দশক পুরনো ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন’ এর অত্যাবশ্যকীয় পণ্যদ্রব্যের তালিকা সম্প্রসারণ করতে চায় সরকার।

এ আইনটি যুগোপযোগী করার প্রচেষ্টায় আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ার পর এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, নতুন তালিকায় সুপেয় পানি, চাল, আটা, পোলট্রি, দুধ ও ডিম, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, টুথপেস্ট, আলু, গম, ধান, কালো জিরা, চিঁড়া, মুড়ি ও তরল কীটনাশকসহ বিভিন্ন পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অন্যদিকে সিগারেট, লবঙ্গ, তেজপাতা, এলাচ ও দারচিনিকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হতে পারে। আইন অনুযায়ী, অত্যাবশ্যকীয় তালিকায় থাকা পণ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে এবং বাজারে যারা কারসাজি করে দাম বাড়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে আইনটি সংশোধনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু পরিকল্পনা অনুসারে কাজ এগোয়নি। তবে এ আইনের আওতায় থাকা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা সংশোধন করা হচ্ছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনটি ১৯৫৬ সালে প্রণীত হয়; এর আওতায় সরকার অত্যাবশ্যকীয় বিভিন্ন নিত্যপণ্যের উৎপাদন, বিপণন এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। এসব পণ্য যাতে নিম্ন আয়ের মানুষসহ সব শ্রেণির ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারেন- তা নিশ্চিত করাই এ আইনের উদ্দেশ্য। এ আইনের প্রয়োগ করতে সরকার বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত স্থাপনের মাধ্যমে বাজার কারসাজি, মজুতদারি ও কালোবাজারির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বৃহৎ করপোরেট সংস্থাগুলো এসব অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) নিজেদের ইচ্ছামতো নির্ধারণ করে বিপণন করছে। এমআরপি রেটে বিক্রি হওয়ায় আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিংবা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও এক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App