×

অর্থনীতি

এফবিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে মতবিনিময় সভা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:২৫ পিএম

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে আসন্ন রোজা উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না বাড়াতে মিলমালিক, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা এবং সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তবে ভোজ্য তেল, চিনি ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বেই বাড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে বাজারে যাতে কেউ অস্থিতিশীলতা তৈরি না করতে পারে এজন্য সব পর্যায়ে ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ রাখার তাগিদ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা অবৈধ ব্যবসা করি না। সুতরাং নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ব্যবসা করতে হবে আমাদের। বিগত সময়ে ব্যবসায়ীদের প্রতি সাধারণ মানুষের যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে তা দূর করতে হবে।’

এসময় চাল, গম ইত্যাদি পণ্য উৎপাদন করে সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য কৃষক ও খামারিদের ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসীদেরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সভাপতি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘বাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হলে ব্যবসায়ীদের অসাধু তকমা দেওয়া হয়, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’ তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি বন্ধে বিক্রয়ের পাকা রশিদ বা ভাউচার থাকা আবশ্যক বলে জানান তিনি। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে বেসরকারি খাতের বিরাট ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন টিসিবি চেয়ারম্যান।

দেশের ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, পিএসসি বলেন, ‘বাজারে নিত্যপণ্যের আমদানি, মজুদ ইত্যাদি নিয়ে বাজারে যে অভিযান আমরা করি, সেগুলো করতে চাইনা আমরা। ব্যবসায়ীরাই নিজেরা সামাধান করতে পারে এগুলো।’

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে বাজার তদারকির পরেও রোজা বা ঈদকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি পায়, যা লজ্জ্বাজনক। ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ দেশের সার্বিক অবস্থা বিবচনা করে এ সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’

আসন্ন রোজায় নূন্যতম দামে পণ্য বিক্রয়ের আহ্বান জানান মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা জানান, বাজারে ভোজ্যতেলের কোনো সংকট নেই। তবে তিনি বলেন, তেলের মূল্য পাইকাররা নির্ধারণ করিনা, মিলমালিকরাই রিফাইন ও মূল্য নির্ধারণ করে। তারাই চাইলে দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন করতে পারে।

সভায় উপস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় মিলমালিকরা জানান, এলসি কম হওয়ার কারনে বাজারে পণ্যের সরবরাহও কম হয়, যা বাজারে মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। এছাড়া, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও কারখানায় গ্যাস সংকটও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারন। চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্য কমাতে শুল্ক পুনর্গঠণের দাবি জানান তারা।

আসন্ন রোজাকে ঘিরে বাজারে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, খেজুর ইত্যাদি পণ্যের সংকট সৃষ্টি হবেনা বলে আশ্বাস দেন মিলমালিক, পাইকারসহ বাজার সমিতিগুলো।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App