×

অর্থনীতি

২ সপ্তাহের মধ্যে ঋণ নিয়ে ‘সিদ্ধান্ত নেবে’ আইএমএফ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ০৫:২২ পিএম

২ সপ্তাহের মধ্যে ঋণ নিয়ে ‘সিদ্ধান্ত নেবে’ আইএমএফ

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ। ছবি: ভোরের কাগজ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে বাংলাদেশের চাওয়া সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণের বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী এই প্রতিষ্ঠানটি সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ।

ঋণ নিয়ে আলোচনা করতে আইএমএফের দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল গতকার বুধবার ঢাকায় এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার আইএমএফের ওই দল এক্সটেনডেট ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি, র‌্যাপিড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি এবং র‌্যাপিড ফাইন্যান্সিং ইন্সট্রুমেন্ট ফ্যাসিলিটির বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। বৈঠকে বাংলাদেশের চাওয়া সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র। ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামালের এই বৈঠকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

সফরের প্রথম দিনই দলটি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক শুরু করেছে। ৯ নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের সদস্যরা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তারা।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশের চাওয়া ঋণ নিয়ে আলোচনা করছে আইএমএফ। দেড় বিলিয়ন করে মোট সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে দেয়ার ব্যাপারে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের আলোচনা ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি (৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন) ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫০ কোটি (১ দশমিক ৫ বিলিয়ন) ডলার ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সরকার। তবে ঋণ পেতে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে। সিরিজ বৈঠকে এসব শর্ত নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে দর-কষাকষি করবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের ঋণ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয় চলতি বছরের জুলাই থেকে। ওই সময় আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিভার কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে চিঠি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। চিঠিতে ঋণের বিষয়ে আইএমএফকে প্রয়োজনীয় আলোচনা শুরুর জন্য অনুরোধ করা হয়।

তিন বছরের জন্য এই ঋণ চেয়েছে সরকার। মূলত, লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষা এবং বাজেটের সহায়তা বাবদ এই ঋণ চাওয়া হয়েছে, যদিও তখন ঋণ চাওয়া নিয়ে ‘লুকোচুরি’ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা ঋণ চাইনি। তবে প্রয়োজন হলে চাইব।’

সরকার ভেবেছিল আইএমএফের কাছে ঋণ চাওয়ার অর্থই হচ্ছে দেশ অর্থসংকটে আছে এটা স্বীকার করা। কিন্তু গণমাধ্যমে ঋণসংক্রান্ত চিঠি ফাঁস হয়ে গেলে চুপসে যান অর্থমন্ত্রী। আইএমএফের কাছে ঋণ চাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য নতুন নয়। ১০ বছর আগে বর্ধিত ঋণ কর্মসূচির (ইসিএফ) আওতায় ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেয় সংস্থাটি। নতুন ভ্যাট আইন প্রণয়নসহ কিছু শর্ত সাপেক্ষে তিন কিস্তিতে ওই ঋণ ছাড় করে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগী আইএমএফ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App