নাটোরের গুরুদাসপুরে সেলিনা বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে তার মেয়ে ববি (১৬)। সোমবার (২২ মার্চ) ঘটনাটি ঘটেছে পৌর সদরের উত্তর নারি বাড়ী গ্রামে। এ ঘটনায় ববিকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে ববি তার মায়ের কাছে তার স্বামীর জন্য মোটরসাইকেল কিনে দিতে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে মা-মেয়ের ঝগড়া বিবাদ হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকাল ৪টার দিকে ঘুমের মধ্যে ব্লেড দিয়ে মায়ের গলা কেটে হত্যা করে। নিহতের স্বামী নজরুল ইসলাম জানান, চাকুরীর কারনে প্রতি দিনের মত গতকালও তিনি সকালে চলে যান কর্মক্ষেত্রে। তার মেয়ে ববি বাসায় ছিল। সোমবার সন্ধার দিকে তিনি ফোনে হত্যার খবর পান। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করে ববি বলেন, তাদের বাড়ীর ভাড়াটিয়া শিরিন শিলাকে নিয়ে কাপড় কিনতে চাঁচকৈড় বাজারে যান তিন। তার আগে তার মাকে গলা কেটে হত্যা করে। তারপর ফিরে এসে কে বা কারা তার মাকে খুন করেছে বলে নাটক সাজিয়ে কান্না কাটি শুরু করে এবং চাচাদের নাম বলতে থাকেন। এসময় পুলিশ বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ববির ভ্যানেটি ব্যাগ হতে নিহত সেলিনা বেগমের গহনা এবং বাড়ির কিছু টাকা পায়। এদিকে ভাড়াটিয়ে শিরিন শিলা বলেন, তিনি বাজারে যেতে চাননি। তাকে অনেক অনুরোধ  করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আসার পর তার মাকে কে যেন খুন করেছে বলে চিৎকার করতে থাকে ববি। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সেলিনার ছোট মেয়ে ববি তার মাকে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ববিকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। গুরুদাসপুর-সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আকতার বলেন, পারিবারিক কলহেই তাকে হত্যা করা হয়েছ।