×

সারাদেশ

জেলায় যাতায়াতে বাঘাইছড়িবাসীর দুর্ভেোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২০, ০৫:৫৮ পিএম

জেলায় যাতায়াতে বাঘাইছড়িবাসীর দুর্ভেোগ

কম সময়ে জেলা শহরে যাতায়াতে একমাত্র পরিবহন স্পিডবোট ঘাট

সারাদেশের যোগাযোগ ব্যাবস্থার বিপুল উন্নয়নের মধ্যেও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বর্তমানে দেশীয় পর্যটনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা। জেলা শহরের সাথে এ উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন ভোগান্তির আরেক নাম। বাঘাইছড়ি থেকে নৌপথ বছরে ৪/৫ মাস লঞ্চে চলাচল করলেও সময় লাগে প্রায় ৬/৭ ঘন্টা। বাকি সময় নদীর নাব্যতা হ্রাসে লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ থাকে। অন্যদিকে সড়ক পথের যোগাযোগে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ঘুরে অতিক্রম করতে হয় ৫/৬ ঘন্টার দীর্ঘ পথ। ফলে জেলা সদরে গিয়ে দাপ্তরিক কাজ করতে ব্যাপক অসুবিধাসহ অতিরিক্ত খরচ গুনতে হয় উপজেলাবাসীর। তবে উপজেলাবাসীর এই বিড়ম্ববনার কিছুটা সহনশীল করে দিয়েছে স্পিডবোট। স্পিডবোটের বদৌলতে এখন মাত্র আড়াই ঘন্টায় জেলা শহর রাঙামাটি যাওয়া যাচ্ছে। যদিও স্পিডবোটে চলাচলে জন প্রতি গুনতে হচ্ছে ৮শত টাকা যা অনেকের সাধ্যের বাহিরে। সাধারন জনগনের দাবি এই ভাড়া ৫০০ টাকায় নামিয়ে আনার। এ বিষয়ে স্পিডবোট বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কুদ্দুস জানান, বাঘাইছড়ি থেকে রাঙামাটির দুরত্ব প্রায় ১৪৪ কিঃমিঃ যেতে সময় লাগে আড়াই ঘন্টা। বোটের জ্বালানি খরচ বেশি হওয়ায় ভাড়া কম নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। জেলার সাথে যোগাযোগে স্পিডবোট সার্ভিসের প্রথম সময় ১ হাজার টাকা নেওয়া হতো,পরবর্তিতে বিবেচনা করে এখন ৮শত টাকা ভাড়া নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাঙামাটির স্থানীয় লঞ্চ মালিক সমিতি নৌ পথে স্পিডবোট চলুক তারা তা চায়না। কারণে অকারণে লঞ্চ মালিক সমিতির বিরুদ্ধে হয়রানি করার অভিযোগ তোলেন তিনি। রাঙামাটি জেলা সদর হতে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাথে নানিয়ারচর ও লংগদু উপজেলা হয়ে সড়ক পথ নির্মাণ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, উক্ত সড়কটির কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন হলে দূর্গম বাঘাইছড়িবাসী দীর্ঘসময়ের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App