স্বস্তিতে সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষ
শহর পরিষ্কার ও ট্র্যাফিক পুলিশের ভূমিকায় শিক্ষার্থীরা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
ছবি: ভোরের কাগজ
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সড়কে বিশৃঙ্খলা রোধে সাতক্ষীরায় ট্র্যাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছনতার কাজ করছে সাতক্ষীরার সড়ক সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচলে অনেকটাই গতি ফিরেছে, একই সঙ্গে সড়কে সেই চিরচেনা যানজট না থাকায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। স্বাভাবিক হতে শুরু হয়েছে মানুষের জীবন যাত্রা।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে শহরের খুলনা রোড মোড়, পাকাপোল মোড়, জজকোর্ট মোড়, সদর হাসপাতাল মোড়, এসপি বাংলো মোড়, বড় বাজার সড়কসহ কয়েকটি জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়কের যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। হাতের গ্লাভস পড়ে, মুখে মাক্স দিয়ে ঝাড়ু নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগেই সড়ক পরিষ্কার করছেন। শিক্ষার্থীদের রাস্তায় থাকা জিনিসপত্র কুড়িয়ে নির্দিষ্ট পাত্রে রাখছেন। সড়ক ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করছেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শহরে ট্র্যাফিক পুলিশ দায়িত্বে না থাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছিল, একারণে তারা গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছে। কোটা আন্দোলনের সময় শহরের বিভিন্নস্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে পৌরসভার ময়লার স্তূপে রাখা হয়। এ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন: মুরাদনগরে রাতের অন্ধকারে দোকানঘর ভাঙচুর ও লুটপাট
এদিকে, দেশে চলমান সহিংসতা রোধে জনগণকে শান্ত ও ধৈর্য ধারনের জন্য সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে সড়ক-মহাসড়কে দিন-রাত মাইকিং করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্যহন। সোমবার (৫ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এই খবর প্রচার হলে সাতক্ষীরা জেলা জুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ও সহিংসতায় আওয়ামী লীগের সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ-বিএনপির ১৪ জন নিহত হন। এছাড়াও বিক্ষুব্ধ জনতা সাতক্ষীরা সদর থানা, ট্র্যাফিক কার্যালয় ও শ্যামনগর থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় থানাগুলোয় বর্তমানে কোন পুলিশ সদস্য নেই। সেখানে বর্তমানে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।