রায়পুরায় শীর্ষ চাঁদাবাজ মমতা রাণীর মাদকব্যবসার মহোৎসব
সাধন দাস, রায়পুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
মমতা রাণী
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের হিন্দু পাড়া গ্রামে আট বছর আগে গলাকেটে হত্যা করা হয় জহর লাল বিশ্বাসের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে তাপস বিশ্বাসকে।
এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যতম পরিকল্পনাকারী পবিত্র বিশ্বাসসহ অন্য আসামিরা। কিন্তু পবিত্র বিশ্বাসের স্ত্রী মমতা রাণী বিশ্বাস বর্তমানে পুরো এলাকায় মাদক ব্যবসার মহোৎসবে মেতে উঠেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে চায় না, মমতা রাণী বিশ্বাস এলাকার শীর্ষ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের নিয়ে মাদক ব্যবসার মহোৎসব চালাচ্ছেন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, আট বছর আগে জহর লাল বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে হঠাৎ অপরিচিত নাম্বারে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, চাঁদা না দিলে তার ছেলেকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। ভয়ে ভুক্তভোগী হুমকি দেওয়া মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হয়নি।
চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসী হৃদয় বিশ্বাস তার ছেলেকে ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে পাঁচজন মিলে নৃশংসভাবে গলাকেটে হত্যা করে পাশে কলাবাগানে তাপসের মরদেহ ফেলে রাখে। এরপরই পবিত্র বিশ্বাসসহ কয়েকজন আসামি পালিয়ে ভারত চলে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মমতা রাণী বিশ্বাস জানান, তাপস বিশ্বাস হত্যা মামলার আসামি ছিলেন আমার স্বামী। বর্তমানে তিনিসহ কয়েকজন আসামি ভারতে পলাতক আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, আট বছর আগে জহর লাল বিশ্বাসের ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তাপস বিশ্বাসকে পবিত্র বিশ্বাসসহ আরও কয়েকজন আসামি নৃশংসভাবে গলাকেটে হত্যা করে। এরপরই হত্যাকারীরা ভারতে পালিয়ে যান। মমতা রাণী বর্তমানে শীর্ষ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের নিয়ে মাদক ব্যবসায় মেতে উঠেছেন।
তিনি রাতভর মাদক বিক্রি করছেন তরুণ ও যুবকদের কাছে। এতে যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বলেও অভিযোগ করেন তারা। দ্রুত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তায় চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও মাদকব্যবসা চিরতরে বন্ধের দাবি জানান এলাকাবাসী।