ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীতে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করার মতো ঘটনা ঘটেছে। তারপর ওই এলাকায় ঈদের আনন্দ যেন মুহূর্তে বিষাদে রূপ নিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোর রাতের দিকে ওই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম রহিমা আক্তার (রেমি)। নিহত রেমি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নিমতলা মন্ডল পাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে। নিহত রেমি পুঠিয়া উপজেলার কাঠালবাড়িয়া এলাকার সায়েম আক্তার সাগরের স্ত্রী।
সাগরের চাকরির সুবাদে রাজশাহী জেলার চারঘাট বাজারের সন্নিকটে ফকির মেলেটারির মোড়ে বাসা মালিক আলী আজম এর নিকট থেকে তার স্বামীর ভাড়া নেয়া ২য় তলায় তারা ভাড়া থাকে। সেখানে তাদের বেডরুমের বেলকনির সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেয়।
এর আগে নিহত রেমি ফেসবুক লাইভে এসে তাদের পারিবারিক কলহের কথা তুলে ধরে। এই ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুর রহিম চারঘাট থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই ঘটনায় পুঠিয়ার নিমতলা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরো পড়ুন: সুবর্ণচরে মহিষ দেখতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
নিহত রেমি তার পোস্ট করা ভিডিওতে বলেন, আমি একটি বই লিখতে শুরু করেছিলাম। বইয়ের নাম রাখতে চেয়েছিলাম সুইসাইড। বই লেখা শেষ না করতেই আমি নিজেই সুইসাইড হয়ে গেলাম।
বাবা-মা খারাপ এসব কথা শুনতে শুনতে বোর হয়ে গেছি। খারাপ না হলে কেউ কথা শোনাতো না। আমার মৃত্যুর জন্য বাবা দায়ী। জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দিতে চাই। বাবা মা খারাপ হলে কিন্তু সন্তানরা খারাপ হয় না। রেমি তার ভিডিওতে এমনটাই বলছিলেন।
রেমির বাবা জানান, গতকাল ১৭ জুন আমার মেয়ে ও জামাই আমার বাড়িতে এসে ঈদের দিন খাওয়া দাওয়া করে তারপর দুপুরের পরে বাড়ি ফিরে যায়। আমার মেয়ে এরপর আমি শুনতে পাই আমার মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে পারিবারিক মনোমালিন্য হয়। পরে আমার জামাই ও মেয়ে চারঘাট ভাড়া বাসায় চলে যায়। ১৮ জুন ভোরবেলা আমার জামাই আমার ছেলের কাছে ফোন দিয়ে ওই খবর দেয়।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আরও বিস্তারিত আপনাদের জানাতে পারব।